পাবনার সুজানগরে পুলিশের গাড়ি থেকে আ. ওহাব নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছেন দলটির সমর্থক স্থানীয় জনতা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আসর নামাজের পর সুজানগর উপজেলার মথুরাপুর স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আ. ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি মথুরাপুর স্কুলগেট এলাকার বাসিন্দা। জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলার আসামি ওহাব।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আ. ওহাবকে গ্রেফতার করে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। এসময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে গাড়ির গতিরোধ করে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওহাবকে গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেন।
স্থানীয়রা জানান, আসরের নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন ওহাব। এসময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মুহূর্তেই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মথুরাপুর, নারায়ণপুর, ভবানীপুর ও বলরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামের ৫০০-৭০০ লোক এসে জড়ো হন। একপর্যায়ে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ওহাবকে ছিনিয়ে নেন তারা।
এ ঘটনায় এলাকাগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছেন ওহাব ও তার সমর্থকরা।
এ বিষয়ে জানতে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফার অফিসিয়াল নম্বরে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে তিনি কেটে দেন। পরে আবার কল দিলে তিনি ধরেননি।
পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান বলেন, ‘ওহাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মথুরাপুর স্কুল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কয়েকশ লোকজন তাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তাকে পুনরায় ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগির তাকে গ্রেফতার করা হবে।’
সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌফিক হাসান আলহাজ্ব বলেন, ‘আমি দলীয় কাজে সারাদিন জেলা শহরে ছিলাম। ফেসবুকে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা দেখে খোঁজ নিয়ে দেখলাম ঘটনা সত্য। এটি ন্যাক্কারজনক। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
আলমগীর হোসাইন নাবিল/এসআর/জেআইএম