পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কাউন্সিলর নিহত, দাবি ইমরান খানের দলের

3 days ago 3
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দাবি করেছে, পুুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতের সংঘর্ষে তিনি নিহত হয়েছিলেন। দলটির  এক এক্স-বার্তার বরাতে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।  পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি বলেছে, ইসলামাবাদের আশপাশে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে তাদের একজন সদস্য গত রাতে রেঞ্জার ও পুলিশের হাতে শহীদ হয়েছেন।  নিহত আব্দুল কাদির খান অ্যাবোটাবাদের লোয়ার তানালোর সুবান গালি গ্রামের একজন নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। দলটির বার্তায় কাফন পরিহিত কাদির খানের মরদেহের ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। তার মরদেহ ঘিরে শোকার্তদের জড়ো হয়ে থাকতে দেখা গেছে। পিটিআই এক্স-এ আরও জানিয়েছে, তার জানাজার নামাজ নিজ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেই তাকে দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে পিটিআইয়ের দাবির তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে ছয়জন নিহতের খবর আসে। তবে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন আধা সামরিক রেঞ্জার ও দুই পুলিশ সদস্য রয়েছেন। নিহত আব্দুল কাদির খান একই ঘটনায় নিহত হয়েছেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।  এদিকে বহু বাধা উপেক্ষা করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকরা দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের প্রাণকেন্দ্র ডি-চকে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স তাদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি ছুড়ে। এতে মুহূর্তে সমাবেশস্থল ইসলামাবাদের ডি-চক জনশূন্য হয়ে যায়। কিন্তু গুলি ও টিয়ার গ্যাসের মধ্যেই আবারও জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ডি-চক থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারীরা আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। সেখান থেকে ছোট ছোট দলে তারা আবারও ডি-চকের দিকে এগোচ্ছেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরপর গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। পুুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর শক্ত অবস্থানের পরও আন্দোলনকারীদের দমানো যাচ্ছে না। আল জাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তাজা বুলেট ব্যবহার করেছে আধা সামরিক বাহিনী। ডি-চকে আবারও বিক্ষোভকারীদের অবস্থানের চেষ্টায় পরিস্থিতি বেশ উত্তাল। সেখানে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
Read Entire Article