ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুরে প্রতিপক্ষের নির্যাতনের শিকার হয়ে ওবায়দুর খান (২৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন ও ট্রাক্টর চালাতেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে পদ্মা সেতু এলাকায় তিনি মারা যান। নিহত ওবায়দুর খান সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওবায়দুর খান শুক্রবার বিকেলের দিকে কানাইপুর বিসিক শিল্পনগরীর কাছে তেলের পাম্পে মোটরসাইকেলের তেল কিনতে যান। এসময় খায়রুজ্জামান খাজার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল তুলে ফরিদপুর জুট ফাইবার্সের পেছনে নিয়ে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। এসময় তার দুই চোখে লোহার পেরেক দিয়ে খুঁচিয়ে আঘাত করাসহ বাম পা ভেঙে ফেলা হয়।
খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
নিহত যুবক ওবায়দুরের বড় ভাই রাজীব খান জানান, ওবায়দুরের সঙ্গে থানার এক এসআইয়ের ভালো সম্পর্ক ছিল। খায়রুজ্জামান খাজা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। ওবাদুর তার খারাপ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন। এছাড়া খাজা আমাদের বিরোধী পক্ষ। বিভিন্ন সময় তার পক্ষে যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকিও দিতেন। এসব কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে খায়রুজ্জামান খাজার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাহিরা হোসেন জানান, ওবায়দুরের দুই চোখ ও মাথায় আঘাতের ফলে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এছাড়া তার বাম পা ভেঙে ফেলা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ওবায়দুর খান পুলিশের সোর্স হয়ে কাজ করতো। এ কারণে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এন কে বি নয়ন/এফএ/জেআইএম