পুশইন বাড়লেও নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

2 months ago 60
সীমান্তে পুশইন বাড়লেও নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।  মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৪তম ডেপুটি জেলার ও ৬২তম কারারক্ষী ও নারী করারক্ষীদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে পুশইন বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা তো আমাদরেই দেশের লোক। আমরা তাদের বলেছি, আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে অবৈধ বসবাসকারীদের ফেরত পাঠানোর জন্য। কিন্তু তারা সেটা করছে না। এটি নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তবে সীমান্তে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই। আমার বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত। আর সীমান্তে পুশইনের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভারত সরকারকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশিদের পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, কারাগারকে ‘কারেকশন সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে বন্দিরা কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। যাতে তাদের পরিবারের ভরণপোষণ সহজ হয় এবং কারাবন্দির পরিবেশ আরও উন্মুক্ত হয়। তিনি আরও বলেন, আসন্ন ঈদ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি অতীতের তুলনায় ভালো। গতবারে ঈদ বেশ ভালো গেছে, এবারও ভালো যাবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নবীন কারা সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনা এ জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে। সেই চেতনা তোমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কারা প্রশাসন গঠনে তোমরাই হবে প্রধান বাহক। আমরা এমন একটি সময় অতিবাহিত করছি যখন নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও মানবিক সংশোধনের বিষয়টি রাষ্ট্রীয় প্রতিটি স্তরে সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করছে। বাংলাদেশ জেল এর ব্যতিক্রম নয়। বন্দিদের শুধু শাস্তি নয়, তাদের পূনর্বাসন ও সংশোধনের লক্ষে কাজ করা-এটাই একটি আধুনিক ও মানবিক কারা ব্যবস্থার মূল দায়িত্ব। এ প্রেক্ষাপটে, আমাদের নবীন ডেপুটি জেলার এবং কারারক্ষীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে সকালে প্যারেড গ্রাউন্ডে ১৪তম ডেপুটি জেলার ও ৬২তম কারারক্ষী ও নারী করারক্ষীদের সমাপনী কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৮ জন জেপুটি জেলার ও ৫০৮ জন কারারক্ষী নতুনভাবে যোগদান করবেন। অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহীর ডিআইজি (প্রিজন) মো. কামাল হোসেন, রাজশাহী মেট্রপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, বিজিবি, কারাকর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।#
Read Entire Article