পৃথক অভিযানে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় পৃথক অভিযানে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা গুলজার আহমদ গ্রেপ্তার হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে আজাদকে ও মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলজারকে হাজীপুর বাজার চৌমুহনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মুহিবুল ইসলাম আজাদ উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
অপর গ্রেপ্তার গুলজার আহমদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়াও তিনি হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট কুলাউড়া শহরে দা, লাঠিসোঁটা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের হামলায় অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়।
তন্মধ্যে ২৪ আগস্ট পারভেজ আহমদ নামের এক ব্যক্তির দায়ের করা বিস্ফোরক মামলার অন্যতম এজাহার নামীয় আসামি ছিলেন কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ। মামলা হওয়ার পর তিনি পলাতক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর কুলাউড়ায় বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। একটি মামলার আসামি ছিলেন কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ। মামলার আসামি থাকার পরও চেয়ারম্যান আজাদ এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। প্রতিদিন তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোস্ট করতেন। তাকে গ্রেপ্তার না করায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয় এবং পুলিশের প্রতি সাধারণ জনগণের বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু পুলিশের দাবি, কর্মধা এলাকায় একাধিকবার অভিযান চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান আজাদ খুবই চতুর লোক ছিল। তাকে ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত ছিল। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাপ আপছার কালবেলাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় এজাহার নামীয় আসামি কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মামলায় হাজীপুরের ইউপি সদস্য গুলজারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।