পেনশন স্কিমের দাবির অর্থ হবে আয়করমুক্ত : জীবন বীমা এমডি

5 days ago 8

জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মুহিবুজ্জামান বলেছেন, জীবন বীমার পেনশন স্কিমের দাবির পুরো অর্থই আয়করমুক্ত থাকবে। এতে গ্রাহক তাদের প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণভাবে ভোগ করতে পারবেন। নতুন এই স্কিম দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সব শ্রেণির গ্রাহকের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে জীবন বীমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘গ্রাহক সেবা পক্ষ ও জীবন বীমা করপোরেশনের (জেবিসি) পেনশন স্কিমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে জীবন বীমা করপোরেশন গ্রাহককে আন্তরিক সেবা দিয়ে আসছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত নতুন নতুন গ্রাহকবান্ধব স্কিম চালু করছে। এর ধারাবাহিকতায় নতুন পেনশন স্কিম চালু করা হলো, যাতে বাড়তি সুবিধা ও সহজ শর্তে গ্রাহকরা পেনশনের নিরাপত্তা পেতে পারেন।

মুহিবুজ্জামান আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৫টি জীবন বীমা কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যার মধ্যে মাত্র ৪-৫টির অবস্থা ভালো। কিছু বিদেশি কোম্পানি ধনী শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধভাবে কাজ করলেও জীবন বীমা করপোরেশনের লক্ষ্য হলো দেশের শহর ও গ্রামের প্রান্তিক জনগণের কল্যাণে কাজ করা। 

তিনি বলেন, আমরা গ্রাহকের প্রাপ্য অর্থ যথাযথভাবে তাদের বা বৈধ নমিনির হাতে পৌঁছে দিই। মুনাফা অর্জন নয়, বরং জনগণের সেবা ও রাষ্ট্রের কল্যাণই আমাদের মূল লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জেবিসির পেনশন বিমা স্কিমের আওতায় গ্রাহক আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। প্রয়োজনে নমিনিকেও এই সুবিধার আওতায় রাখা যাবে। 

মেয়াদপূর্তিতে গ্রাহক এককালীন বা মাসিক ভিত্তিতে পেনশন গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এ স্কিমে প্রিমিয়াম জমার অর্থ আয়কর রেয়াতের সুবিধা পাবে। ২০ থেকে ৬০ বছর বয়সি নাগরিকরা এতে অংশ নিতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে গ্রাহক এসকে মো. হাসান ও শায়লা শারমিনের প্রিমিয়ামের মেয়াদপূর্তির চেক হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদার, জীবন বীমা করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন) আবু মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (গোষ্ঠীবিমা ডিভিশন) শেখ খায়েরুজ্জামান প্রমুখ।

Read Entire Article