পোশাক খাতের অর্জনকে কাজে লাগিয়ে জোরালো প্রচারণার তাগিদ

3 months ago 73

পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারাখানা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) কর্তৃক লিড স্বীকৃতি পাওয়া সেরা কারখানাগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশের। তৈরি পোশাক শিল্পের এই অনন্য অর্জনকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জোরালো প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

শনিবার (১ জুন) আরএমজি এবং নিটওয়্যার বিষয়ক এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

পাশাপাশি নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যকরণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করার পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং টর্ক ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবুল আলম বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অন্যান্য শিল্পের মতো তৈরি পোশাক খাতকেও নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। তবে কম্প্লায়েন্সের দিক থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক দূর এগিয়েছে। এই অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে শিল্পটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। গতানুগতিক পণ্য উৎপাদনের বাইরে আমাদের নন-কটন গার্মেন্টসে মনযোগ দিতে হবে। নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে একটি গ্লোবাল ফ্যাশন ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় তৈরি পোশাক খাতের বিদ্যমান নানা চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং গুণগত জ্বালানি সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে আলোচনা হয়েছে।

সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে আমাদের দ্রুত রপ্তানি বহুমুখীকরণে যেতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পেও পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্রকরণের অনেক সুযোগ রয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল তৈরি এবং নতুন বাজার ধরতে আমাদের উদ্যোক্তাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।

শিল্পের সমস্যাগুলো নিয়ে অংশীজনদের সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ফারুক হাসান জানান, ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বন্দর ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়ন এবং পণ্যের স্থানীয় মূল্য সংযোজন বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন ব্যয় স্বাভাবিক রাখতে গুণগত ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিতকরণ, কাস্টমস ও বন্ডের জটিলতা হ্রাস, অনৈতিক প্রতিযোগিতা রোধ, স্থানীয় গার্মেন্টস, এক্সেসরিজ শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়ন, পণ্য জাহাজীকরণে লিড-টাইম কমিয়ে আনাসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক বি.এম. শোয়েব, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।

ইএআর/এসআইটি/এমএস

Read Entire Article