দেশের তৈরি পোশাকশিল্প খাতের শ্রমিকদের বার্ষিক ৯ শতাংশ মজুরি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। যা চলতি ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে পোশাকশিল্প খাতে বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে সক্ষমতা ও করণীয় বিষয়ক কমিটির পঞ্চম সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার পোশাকশিল্প খাতে নিম্নতম মজুরি পুনর্মূল্যায়ন এবং বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে সক্ষমতা ও করণীয় বিষয়ক কমিটির পঞ্চম সভা হয়।
সভায় বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি বিষয়ে এ খাতের শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন। শ্রমিকপক্ষ বার্ষিক ১০ শতাংশ মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে মতপ্রকাশ করেন। অন্যদিকে মালিকপক্ষ ৮ শতাংশের বেশি না বাড়াতে মত দেন। উভয়পক্ষের আলোচনা শেষে ৯ শতাংশ মজুরি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন
- পোশাকশিল্পে কমছে নারী শ্রমিক, নেমে আসতে পারে স্থবিরতা
- ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য পাবেন পোশাক শ্রমিকরা
- দুর্বল কারখানা বন্ধ করবে সরকার, বাছাই করতে হচ্ছে কমিটি
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, দেশের পোশাকশিল্প নিয়ে বাইরে থেকে চাপ তৈরি করা হচ্ছে। এ শিল্প নিয়ে দেশের ভেতর-বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের স্বার্থে মালিক ও শ্রমিকদের সহযোগিতা থাকতে হবে।
এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে-
>>> বিদ্যমান শতকরা ৫ ভাগ বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে আরও শতকরা ৪ ভাগ যুক্ত করে সর্বমোট শতকরা ৯ ভাগ বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির সুপারিশ করা হলো।
>>> নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট অর্থাৎ শতকরা ৫ ভাগ বিদ্যমান অবস্থায় অব্যাহত থাকবে।
>>> কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট শতকরা ৪ ভাগ বৃদ্ধি ১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে, যা জানুয়ারি মাসে প্রদেয় বেতনের সঙ্গে দিতে হবে।
>>> বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধিত) সম্পর্কিত অন্য সুবিধাদিও প্রাসঙ্গিক হবে।
>>> এ মজুরি বৃদ্ধি সরকারের পুনর্মূল্যায়ণ বা নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক পরবর্তী নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা না করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এমএএস/এমকেআর/এমএস