প্যারাসিটামলে জ্বর না কমলে যা করবেন

9 hours ago 2

বর্তমানে ছোট-বড় প্রায় প্রত্যেকেই জ্বরে ভুগছেন। জ্বরের শুরুতে সবাই প্যারাসিটামলের উপরই ভরসা রাখেন। প্রায় প্রতি ঘরেই এই ওষুধ জমা থাকে। চিকিৎসকরাও জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া সামান্য হাত পা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, শরীর ব্যথা যে কোনো অসুখ হলেই প্যারাসিটামল খেয়ে থাকেন।

তবে চাইলেই যখন-তখন প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত মাত্রায় প্যারাসিটামল সেবনে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই জ্বর হলেও প্যারাসিটামল খাওয়ার ছোট ছোট বিষয়গুলো জেনে খেতে হবে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক প্যারাসিটামল কখন, কীভাবে খাবেন -

কতক্ষণ পর পর প্যারাসিটামল খেতে হবে
জ্বর কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হলো প্যারাসিটামল। এই ওষুধ খাওয়ারও নিয়ম রয়েছে। নয়াদিল্লির পিএসআরআই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ডাঃ প্রশান্ত সিনহা জানান, প্যারাসিটামল খাওয়ার মাঝে ৪ ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে হবে। মোটামুটি দিনে ৪টি খেলেই জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই অহেতুক প্যারাসিটামল খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

প্যারাসিটামল খেয়েও জ্বর না কমলে যা করবেন
প্যারাসিটামল খাওয়ার পরে কাজ করার জন্য এক ঘণ্টা সময় দিতে হবে। এক ঘণ্টা পরেও যদি জ্বর না কমলেও প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না। ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময় জ্বর কমানোর জন্য কপালে পানির পট্টি দিতে পারেন কিংবা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে দিতে পারেন। তবে পানি যেন স্বাভাবিক তাপমাত্রার হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

জ্বর থেকে দ্রুত সুস্থ হতে যা করবেন
জ্বর থেকে দ্রুত সুস্থ হতে হলে বেশি পানি পান করতে হবে। দিনে ৪ লিটার পানি খেতেই হবে। পাশাপাশি স্যালাইন এবং ডাবের পানি খেতে হবে। এছাড়া শরীরকে সুস্থ করতে পর্যাপ্ত বিশ্রামও নিতে হবে।

অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে কী ক্ষতি হতে পারে
প্যারাসিটামল বেশি খেলে পরবর্তীকালে পেপটিক আলসার হতে পারে। হার্টের অসুখ, হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ,অ্যালার্জির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং লিভার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই প্রয়োজন ছাড়া বেশি পরিমাণ প্যারাসিটামল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, মায়ো ক্লিনিক

আরও পড়ুন
ডেঙ্গু নাকি চিকুনগুনিয়া, কীভাবে বুঝবেন
ডায়াবেটিস কেন হয়

এসএকেওয়াই/এএসএম

Read Entire Article