বরগুনা আমতলী উপজেলায় প্রকল্প ও অর্থ বরাদ্দসংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের তথ্য দিতে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট কিছু তথ্য ছাড়া কারও আবেদন পাওয়ার ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সব তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্প ও অর্থ বরাদ্দসংশ্লিষ্ট তথ্য দিতে গড়িমসি করছেন উপজেলার এলজিইডি কর্মকর্তারা।
২০২৪ সালে ১৮ মার্চ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে তথ্য না পেয়ে সংক্ষুব্ধ মো. মহসিন মাতবর জানান, উন্নয়ন প্রকল্পে নানা ধরনের বড় বড় দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ আছে। তাই প্রকল্পের তথ্য দিতে কর্মকর্তারা গড়িমসি করেন। প্রকল্পের তথ্য দিতে শুধু গড়িমসি নয়, অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হয়রানিও করেন এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী।
দৈনিক কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এলজিইডি একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা নির্মাণের কার্যাদেশ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জমা দিতে গত ১২ জানুয়ারি উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। আবেদন জমা দিতে চাইলে তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। একপর্যায়ে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী আবেদন জমা না নিয়ে বরগুনা জেলা কার্যালয়ে জমা দিতে বলে ফিরিয়ে দেন।
উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ নূহ আলম নবীন বলেন, দেশে দুর্নীতির যে ক্ষেত্রগুলো আছে, তার অন্যতম উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ঘিরে। আর প্রকল্পসংক্রান্ত তথ্য দিতে কর্মকর্তাদের গড়িমসি সেটারই প্রতিফলন বলে মনে করা যেতে পারে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলমকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
বরগুনার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান খান বলেন, তথ্য চাইলে দিতে হবে, না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।