ভারতের উত্তরপ্রদেশের মীরাটে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে নামাজ পড়ার ঘটনায় এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর স্থানীয় হিন্দু গ্রুপ প্রতিবাদ জানায় এবং ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।
ক্যালিড প্রধান (ক্যালিড মেওয়াতি) নামে ওই ছাত্র একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে নামাজ পড়ছিলেন। ভিডিওটি হোলি উৎসবের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এ ঘটনার তদন্ত করে এবং ক্যালিড প্রধানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নিরাপত্তাকর্মীকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
গঙ্গা নগর থানার এসএইচও অনুপ সিং জানান, ঘটনার পর এক স্থানীয় ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের মতে, ওই ভিডিও ‘ধর্মীয় অনুভূতি আঘাত’ দেওয়ার জন্য ছড়ানো হয়েছে। মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৯ ধারাসহ তথ্য প্রযুক্তি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র সুনীল শর্মা বলেন, এ ঘটনার উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সূত্র: এনডিটিভি