প্রতারণার দায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা কওনের ১৫ বছর কারাদণ্ড

২০২২ সালের ‘ক্রিপ্টো উইন্টার’ সৃষ্টি তথা ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে প্রতারণার দায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ডো কওনকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে তার এ সাজা দেওয়া হয়েছে। তিন বছর আগে টেরা ইউএসডি ও লুনা নামের দুটি ক্রিপ্টোকারেন্সির ধসের মাধ্যমে ৪০ বিলিয়ন ডলার লোকসান এবং পুরো ক্রিপ্টো খাতকে ধ্বংস করার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন ডো কওন। মার্কিন প্রশাসনের মতে, কওনের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ এবং গ্রাহকদের প্রতি আচরণ এবং স্যাম ব্যাকম্যান-ফ্রাইডের প্রতিষ্ঠান এফটিএক্সের পতনে বড় ভূমিকা রেখেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ষড়যন্ত্র করে প্রতারণা ও ওয়ার ফ্রড এ দুই অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছিলেন ৩৪ বছর বয়সি কওন। সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেরাফর্ম ল্যাবসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কওন টেরা ইউএসডি এবং লুনা ক্রিপ্টোকারেন্সিরও নির্মাতা। মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক পল এঙ্গেলমায়ার তার অপরাধকে আখ্যা দেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখার মতো বিশাল প্রতারণা হিসেবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তার ১২ বছরের সাজা চাইলে বিচারক বলেন, ভুক্তভোগীদের ক্ষতি বিবেচনায় সেটি খুবই কম এবং তিনি ১৫ বছরের সাজা ঘোষণা করেন। বিচারক পল বলেন, ফেডারেল

প্রতারণার দায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা কওনের ১৫ বছর কারাদণ্ড

২০২২ সালের ‘ক্রিপ্টো উইন্টার’ সৃষ্টি তথা ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে প্রতারণার দায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ডো কওনকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে তার এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিন বছর আগে টেরা ইউএসডি ও লুনা নামের দুটি ক্রিপ্টোকারেন্সির ধসের মাধ্যমে ৪০ বিলিয়ন ডলার লোকসান এবং পুরো ক্রিপ্টো খাতকে ধ্বংস করার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন ডো কওন।

মার্কিন প্রশাসনের মতে, কওনের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ এবং গ্রাহকদের প্রতি আচরণ এবং স্যাম ব্যাকম্যান-ফ্রাইডের প্রতিষ্ঠান এফটিএক্সের পতনে বড় ভূমিকা রেখেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে ষড়যন্ত্র করে প্রতারণা ও ওয়ার ফ্রড এ দুই অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছিলেন ৩৪ বছর বয়সি কওন। সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেরাফর্ম ল্যাবসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কওন টেরা ইউএসডি এবং লুনা ক্রিপ্টোকারেন্সিরও নির্মাতা।

মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক পল এঙ্গেলমায়ার তার অপরাধকে আখ্যা দেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখার মতো বিশাল প্রতারণা হিসেবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তার ১২ বছরের সাজা চাইলে বিচারক বলেন, ভুক্তভোগীদের ক্ষতি বিবেচনায় সেটি খুবই কম এবং তিনি ১৫ বছরের সাজা ঘোষণা করেন।

বিচারক পল বলেন, ফেডারেল মামলার ইতিহাসে খুব কম ঘটনাই এ ঘটনার মতো আর্থিক ক্ষতি ডেকে এনেছে।

শুনানিতে কওন আত্মপক্ষ সমর্পণ করে বলেন, আমি বলতে চাই না যে আমার আচরণ সঠিক মানদণ্ডে ছিল। সবার দুর্ভোগের কারণ হিসেবে আমাকে দায়ী করা উচিত।

কওন গত বছর মন্টেনেগ্রো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের পর থেকে মার্কিন হেফাজতে আছেন। তিনি সেখানে ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহারের দায়ে কারাভোগ করছিলেন।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow