প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে রাখছেন কাবরেরা
দারুণ খেলেও মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হার দেখতে হয়েছিল বাংলাদেশের। ফিনিংশের ব্যর্থতায় ১-০ গোলে পরাজয় মেনে নিতে হয় হাভিয়ের কাবরেরার দলের। এমন ব্যর্থতার পর প্রচুর সমালোচনার মুখেও পড়েছে দল। তবে এবার দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জের সামনে তারা।
আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় ম্যাচটিতেও প্রত্যাশার পারদ উঁচুতেই রাখার কথা বলেছেন কোচ কাবরেরা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রায় ১ বছর ধরে কোনো ধরনের ফুটবলেই ছিল না মালদ্বীপ। অথচ সেই দলের কাছেই ঘরের মাঠে হার দেখতে হয়েছিল তপু বর্মনদের। এবার দ্বিতীয় ম্যাচের আগে অনুশীলনে ইতিবাচক দেখা গেছে পুরো দলকে। কোচের ভাষ্যমতে, ‘বৃহস্পতিবার শারীরিক ও মানসিকভাবে ছেলেদের রিকভারি হয়েছে। আজকের ট্রেনিং সেশন নিয়ে আমরা ইতিবাচক। ছেলেরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সতেজ হয়ে উঠেছে। এবারও প্রত্যাশা উঁচুতে, ভরপুর প্রাণশক্তিও আছে। আগামীকালের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি, আশা করি আমরা এবার জিতব।’
প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেও হার, খেলোয়াড়দের জন্য কষ্টদায়ক বলে মনে করেন এই স্প্যানিশ কোচ। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের পরই আমি বলেছিলাম, ভালো ও ইতিবাচক খেলার পরও এমন ফল পাওয়াটা কষ্টদায়ক ছিল। আসলে জয়ের উচ্চাশা ছিল সবার, যেটা আমরা অর্জন করতে পারিনি। এটা মানসিকভাবে খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন।’
প্রথম ম্যাচে জেতার মতো সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ফিনিশিংয়ের দুর্বলতা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছিল বার বার। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল নিয়েও গোল মুখে তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি মোরসালিন-রাকিবরা। উল্টো নিজেদের ডিফেন্সেও দুর্বলতার চিত্র দেখা গেছে বার বার। কাবরেরা অবশ্য নিজেদের ভুল-ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছেন। একই সঙ্গে শিষ্যদের কাছে এবার অন্তত একটি গোল চান তিনি, তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা প্রথম ম্যাচের দিকে তাকান, দেখবেন, তাদের অর্ধে আমাদের খেলোয়াড়দের উপস্থিতি ভালো ছিল, সুযোগও এসেছিল; কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। কেন আমরা গোল করতে পারিনি, সে ব্যাখ্যা দেওয়া কঠিন। দ্বিতীয় ম্যাচেও আমরা প্রতিপক্ষের বক্সে আগের ম্যাচের মতোই বেশি সংখ্যায় থাকার চেষ্টা করব এবং আমরা বিশ্বাস করি, এবার অন্তত একটা গোল করতে পারব।’
কাবরেরা বিশ্বাস করলেও সেটা মাঠে দেখানোর চ্যালেঞ্জটা মোরসালিন-রাকিবদের জন্যই থাকবে। প্রথম ম্যাচে বেশ কিছু ভুল পাস করেছেন তারা। এবার সেটা শুধরে উঠে জেতার চ্যালেঞ্জ তপুর নেতৃত্বাধীন দলের।