প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন

3 months ago 10

তিন বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো শান্তি আলোচনায়  বসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন। শুক্রবার (১৬ মে) ইস্তাম্বুলে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইস্তাম্বুলে প্রথমবারের মতো সরাসরি শান্তি আলোচনায় মিলিত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাত বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তুরস্কের বসফরাসের তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক ডলমাবাহচে প্রাসাদে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান রাশিয়ান ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এই বৈঠকে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের অর্ধেক সদস্যকে সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। অন্যদিকে রাশিয়ান প্রতিনিধিরা স্যুট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। 

ফিদান বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিরতি অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উভয় পক্ষের শান্তির জন্য নতুন সম্ভাবনার আগ্রহের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ইস্তাম্বুল আলোচনা দুই দেশের নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ফিদান।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে দুটি পথ রয়েছে- একটি পথ শান্তির দিকে নিয়ে যাবে, আরেকটি ধ্বংস ও মৃত্যুর দিকে। উভয় পক্ষ তাদের নিজেদের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নেবে কোন পথটি বেছে নেবে।

২০২২ সালের মার্চে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক হলো। তবে, বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে ট্রাম্পের বক্তব্যে বড় ধরনের অগ্রগতির প্রত্যাশা আরও কমে যায়। তিনি বলেন, তিনি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক ছাড়া কোনো অগ্রগতি সম্ভব নয়।

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান কিয়েভের অগ্রাধিকার তুলে ধরে বলেন, রাশিয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি, অপহৃত ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং সব যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে সম্মত হলেই শান্তি সম্ভব।

রাশিয়া বলছে, তারা কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে তারা বেশ কিছু প্রশ্ন ও উদ্বেগ তুলে ধরেছে। তারা বলছে- ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির সুযোগে তাদের বাহিনীকে বিশ্রাম দেওয়া, অতিরিক্ত সৈন্য সংগ্রহ এবং পশ্চিমা অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারে।

Read Entire Article