প্রধান আসামির দায় স্বীকার, রিমান্ডে আরও দুই ছাত্রলীগ নেতা

1 week ago 15

রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার প্রধান আসামি ও বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া এই মামলায় আরও ২ ছাত্রলীগ নেতার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন। 

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন—ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দেব ওরফে নয়ন ও সন্দীপ থানা ছাত্রলীগ নেতা শামসুদ্দিন রনি। 

এদিন সোহেল রানা স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন। 


এ ছাড়া বাকি দুজন আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত উভয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

এর আগে গত ১৩ জুলাই  দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে কারাগারে ছিলেন সোহেল। চট্টগ্রাম মেট্রো ডিবি পুলিশ ১২ আগস্ট দুপুর ১টায় সৌরভকে গ্রেপ্তারের পরদিন রাত ৮টায় হস্তান্তর করে। রনিকে ১৪ আগস্ট রাত ১টায় খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 


 গত ১৩ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার উপপরিদর্শক জ্যোতির্ময় মণ্ডল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে। পরদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামান মোল্লার স্ত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা ও বরগুনার সোহেল রানার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তারা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তারা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।

Read Entire Article