সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নারী ফুটবল দলকে শনিবার সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা মেয়েদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করে ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। কার কী সমস্যা আছে সব জেনেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন থেকে বাফুফে ভবনে ফিরে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘খুবই আন্তরিক পরিবেশে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আমাদের সব কথা শুনেছেন এবং সম্ভব সবকিছু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’
সাবিনা খাতুন বলেন, ‘মেয়েরা আশা নিয়ে আছে হয়তো ভালো কিছু হবে। স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) সবার কাছেই ব্যক্তিগতভাবে জানতে চেয়েছেন কারও কোনো সমস্যা আছে কি না, চাওয়া আছে কি না। মোটামুটি সবার কাছ থেকে একটা বিষয়ই ছিল যে, আবাসনের ব্যবস্থা হলে ভালো হয়। মেয়েরা সারাবছর ক্যাম্পে থাকে। তাদের পরিবারের সদস্যরা আসে এবং এসে হোটেলে থাকতে হয়। অনেক পরিবারের জন্য হোটেলের খরচটা বহন করাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। মেয়েদের জন্য যদি জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় সেটাই মূলত সবাই বলেছে।’
অনেক ফুটবলার তাদের এলাকার সমস্যার কথাও তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
‘অনেক মেয়ে তাদের অঞ্চলের ছোটখাটো সমস্যা যেমন- রাস্তাঘাট সমস্যা। মনিকা চাকমা যেমন বলেছে, ওর এলাকায় রাস্তাঘাট ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কথা। এসব শুনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সবার সমস্যা লিখিতভাবে দিতে। তিনি সব কিছুই শুনেছেন’ -যোগ করেন সাবিনা খাতুন।
শুধু নিজেদের আবাসনের বিষয়ই নয়, সাবিনারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুশীলনের সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেছেন।
সাবিনা আরও বলেন, ‘যেমন আমরা বলেছি, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এখনো তৈরি হয়নি। আমাদের অনুশীলনের জন্য যেতে হয় বসুন্ধরা কিংসের মাঠে। সেটা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। কমলাপুরে যে টার্ফ আছে সেটাও সংস্কার প্রয়োজন। আমরা বলেছি, বর্তমান কমিটিকে যেন সরকার থেকে সাপোর্ট দেওয়া হয়। আমাদের ফিফা প্রীতি ম্যাচগুলোয় যে টাকার সমস্যা থাকে সেগুলোর দিকে যেন নজর দেন। ছেলে ও মেয়ে দুটি ফুটবল দল নিয়েই যেন উন্নতির জন্য কাজ করা হয়।’
সবার কথা শুনে কী বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা? সাবিনার জবাব, ‘তিনি বলেছেন, যেসব সমস্যা সমাধান সম্ভব তা করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আমরা সবকিছু লিখিত আকারে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে পাঠাবো। তিনি প্রধান উপদেষ্টা স্যারের কাছে দেবেন। আমরা কোনো দফা নিয়ে তার কাছে যাইনি। আমাদের চাওয়া পাওয়ার দায়িত্ব নেবেন বর্তমান সভাপতি। দিন শেষে তো কাজ করবেন তিনিই। আমরা অবশ্যই আশা করবো বর্তমান সভাপতি আমাদের দিকে সুনজর দেবেন। সরকার থেকে যে সাপোর্টটা পাওয়ার কথা সেটাও যেন পাই। গতবার আমাদের বেশি চাওয়া ছিল না। এবার মেয়েরা একটা বিষয়ের ওপর সবাই গুরুত্ব দিয়েছে সেটা হলো আবাসন ব্যবস্থা।’
আরআই/এমএইচ/জেআইএম