দেড় হাজার কোটি টাকার ‘টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল)’ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে নিয়মিত অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রকল্পে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিগগির অনুসন্ধান কর্মকর্তাও নিয়োগ দেওয়া হবে।
২০১৮ সালে শুরু হওয়া ‘সুফল’ প্রকল্পটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতায় নেওয়া বৃহত্তম উদ্যোগ। দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় মোট ভূখণ্ডের ২৫ শতাংশ বনভূমি নিশ্চিত করার লক্ষ্য সামনে রেখে এই প্রকল্প নেওয়া হয়। দেশের ২৮টি জেলা ও ৫টি বনাঞ্চল নিয়ে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে বন অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়েছিল দুদক। সেসময় কাগজে-কলমে কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানায় সংস্থাটি। অনুসন্ধানে উঠে আসে, প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ছিল না এবং কাজ না করেই বিল গ্রহণ করা হয়েছে। এতে জড়িত হিসেবে প্রধান বন সংরক্ষক ও প্রকল্প পরিচালকের নাম উঠে আসে।
ডিপিডিসির প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান
এদিকে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের তৈরি নিম্নমানের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ডিপিডিসিতে সরবরাহ করেছেন। এছাড়া পদোন্নতিতে অনিয়ম এবং জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের বিষয়েও অভিযোগ উঠেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের তলব
এছাড়া ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হামিদসহ সাবেক ও বর্তমান ১৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক। আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট তাদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এসএম/ইএ/জিকেএস