তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (এসবি) নামে একটি ভুয়া অফিস আদেশ ছড়িয়ে পড়েছে। এই আদেশে শিক্ষকদের সমাবেশে আসতে নিরুৎসাহিত করা এবং যারা যোগ দেবেন তাদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আগামীকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৯টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের এই মহাসমাবেশ শুরু হবে। এতে সারাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষক অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভুয়া আদেশে বলা হয়েছে, ‘তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশ আগামী ৩০ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। কর্মসূচিতে সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করলে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে মর্মে প্রতীয়মান। শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
ছড়িয়ে পড়া আদেশের নিচের দিকে দুটি বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. কর্মসূচিতে শিক্ষকগণ যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও থানা শিক্ষা অফিসার এর মাধ্যমে তাদেরকে কর্মসূচিতে আসতে নিরুৎসাহিত করা।
২. যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শিক্ষকগণ কর্মসূচিতে যোগদান করবেন সে সকল বিদ্যালয়ের নাম, আগত শিক্ষকগণের সংখ্যা, কোন যানবাহনে আসবেন তার নাম, নম্বর ও সংখ্যা জরুরিভিত্তিতে অত্র শাখাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
- আরও পড়ুন
- প্রাথমিক শিক্ষকদের সমাবেশ কাল, থাকবেন বিএনপি-জামায়াতের প্রতিনিধি
- প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেতে লাগবে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এ ধরনের কোনো আদেশ বা নির্দেশনা পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। কে বা কারা এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ছয়টি পৃথক সংগঠনের মোর্চা ‘সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর আহ্বানে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঐক্য পরিষদের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়তে দেখেছি। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এটা ভুয়া চিঠি। এ নিয়ে শিক্ষকরা ভীত নয়।
এএএইচ/কেএইচকে/এএসএম