মাঠ পর্যায়ের উপজেলা/থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের পদমর্যাদা ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটাতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি বলে জানান তারা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের নেতারা।
অ্যাসোসিয়েশন সদস্য সচিব আল আমিন হাওলাদার বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদটি ১০ম গ্রেডে অপরিবর্তিত রয়েছে। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাদের অধীনস্থ প্রধান শিক্ষকদের পদটি ১০ম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকদের পদটি ১৩তম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অধীনে প্রায় ৩০ জন প্রধান শিক্ষক (১০ম গ্রেড) এবং ১৬০-২০০ জন সহকারী শিক্ষক (১৩তম গ্রেড) কাজ করেন। শিক্ষকদের প্রশাসনিক ও একাডেমিক তত্ত্বাবধান, মনিটরিং এবং ছুটি অনুমোদনসহ সব দায়িত্ব এই কর্মকর্তারাই পালন করেন। একই গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি জানান, উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারাও ১০ম থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। কিন্তু সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের পদটি ৩১ বছর ধরে অপরিবর্তিত থাকায় তাদের মধ্যে হতাশা ও কর্মস্পৃহা হ্রাস পাচ্ছে।
অ্যাসোসিয়শনের আহ্বায়ক মুহাম্মদ মিলন মিয়া বলেন, বর্তমানে ২ হাজার ৬২৯টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদের বিপরীতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পদ রয়েছে মাত্র ৫১৬টি। পদোন্নতির সুযোগ অত্যন্ত সীমিত হওয়ায় বেশিরভাগ কর্মকর্তা ২৫-৩০ বছর একই পদে থেকে অবসরে যাচ্ছেন। এর ফলে কর্মকর্তারা কর্মোদ্দীপনা হারাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, এ পদটি ৯ম গ্রেডে উন্নীত করলে সরকারের বাড়তি আর্থিক চাপ পড়বে না। কারণ ১ হাজার ৭২৭ জন কর্মরত কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র ২৬৭ জন ছাড়া বাকি সবাই ইতোমধ্যে উচ্চতর গ্রেড বা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ৭ম, ৮ম বা ৯ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। তাই এটা শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলামসহ কেদ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।