প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফোর্থ প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় অনুদান দিয়েছে জাপান। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অনুদানের পরিমাণ ৩৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে ‘বিনিময় নোট’ ও ‘অনুদান চুক্তি’ সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দুই চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।
জাপান সরকারের পক্ষে ‘বিনিময় নোট’ চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইগুচি তোমোহিদি ‘অনুদান চুক্তি’ সই করেন।
- আরও পড়ুন
১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে হজ প্যাকেজের বাকি টাকা
উদ্ধার হওয়া ৪ অস্ত্র আসল নয়, খেলনা পিস্তল
ফোর্থ প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন হচ্ছে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে। এরই মধ্যে এ কর্মসূচির জন্য গত চার বছরে জাপান সরকার মোট ২ হাজার মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন অনুদান সহায়তা দিয়েছে। ৫ম বছরের জন্য জাপান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান সহায়তা আর্থিক ও বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও পেশাদার উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হবে।
দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে বাংলাদেশের একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপান। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। নমনীয় ঋণ ছাড়াও জাপান বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। যার মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এমওএস/কেএসআর