নির্বাচনী ট্রেনে উঠেছে দেশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে। এরইমধ্যে মনোনয়ন প্রাপ্তি ও অন্যান্য প্রস্তুতির দৌড়ঝাঁপে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের কয়েক মাস পর থেকেই এ দৌড়ঝাঁপ থাকলেও ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণায় এ দৌড়ঝাঁপের গতি বেড়েছে। বেড়েছে নিজ রাজনৈতিক এলাকায় কর্মী ও জনসংযোগের গতিও।
এমন চিত্র পাবনার সংসদীয় আসনগুলোতেও। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল পাবনা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই হেভিওয়েট নেতার মধ্যে। তবে সম্প্রতি এ লড়াইয়ের অবসান হয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা একটি বৈঠক শেষে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য একেএম সেলিম রেজা হাবিবকে এ আসনে নির্বাচনমুখী কাজ করার মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে এসব কোন্দল ও দ্বিধা-বিভক্তির ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে প্রথমবারের মতো এ আসন দখলে নেওয়ার চেষ্টা ছিল জামায়াত ইসলামীর। তবে এখন আর সেটি সহজ নয় বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা পাবনার আসনগুলোতে মনোনয়ন সংক্রান্ত জটিলতা ও কোন্দল নিরসনের জন্য একটি বৈঠক শেষে সেলিম রেজা হাবিবকে এ আসনে নির্বাচনমুখী কাজ চালানোর মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী অনেক আগেই তাদের প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। ফলে উভয় দলই এখন ভোটের মাঠ গোছানোর লড়াইয়ে নেমেছে। তবে এ আসনে জামায়াতের সমর্থক বাড়লেও বিএনপিতে বেশি সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
- আরও পড়ুন
- নিজামীর ছেলে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী, ধানের শীষ চান অনেকেই
- বিভক্ত বিএনপি, সুযোগ নিতে চায় জামায়াত
স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, পাবনা সুজানগর ও বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসন গঠিত। একজন তৃতীয় লিঙ্গসহ নারী ও পুরুষ মিলিয়ে এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৪। এর মধ্যে সুজানগরে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০ ও বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার পাঁচটি ইউনিয়নে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন অফিস।
তথ্য বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ আসনে বিএনপির প্রভাবই বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। কেননা ১৯৯১ সালে বিএনপির ওসমান গনি এবং ২০০১ সালে বিএনপির একেএম সেলিম রেজা হাবিব এ আসনে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন সেলিম রেজা হাবিব। পরে ১৯৯৬ সালের জুনে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচিত হন আহমেদ তফিজ উদ্দিন। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষে এ কে খন্দকার ও ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন খন্দকার আজিজুল হক আরজু। সবশেষ ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আহমেদ তফিজ উদ্দিনের ছেলে আহমেদ ফিরোজ কবির আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হন।
সুজানগর ও আমিনপুর নিয়ে নির্বাচনী এলাকার শতভাগই কৃষিপ্রধান এলাকা। এখানে জেলার সবচেয়ে বড় একটি অংশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কৃষি ও কৃষক নিয়ে যাদের ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে তাদের প্রতি এই আসনের ভোটারদের ঝোঁক তুলনামূলক বেশি। একইসঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কৃষিজমি ও বাড়িঘর বিলীন রোধের নিশ্চয়তা চান তারা। সুশৃঙ্খল ভোটের পরিবেশ পেলে মানুষের এসব স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রার্থীকেই ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করতে চান ভোটাররা।
পাবনা-২ আসনে আগে তেমন আলোচনায়ই ছিল না জামায়াতে ইমলামী। তবে সম্প্রতি এ আসনে জামায়াতের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সুজানগর ইউএনও অফিসে জামায়াতের চার নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর কয়েক দফায় তারা ব্যাপক জনসমাগমে প্রতিবাদ মিছিল ও মারধরের বিচার দাবিতে পথসভা করে। এসময় থেকেই এ আসনে জামায়াতের প্রভাব বাড়ার বিষয়টি নজরে আসে সবার।
- আরও পড়ুন
- ১৮ বছর পর ফেরা তুহিনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত
- লাখের বেশি হিন্দু ভোটারের মন জয়ে তৎপর বিএনপি-জামায়াত
এছাড়া সুজানগরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ব্যাপক জনসমাগমে বিশাল জনসভা সম্পন্ন করেও নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সবমিলিয়ে এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা বা জনসমর্থন অনেক বেড়েছে বলে মনে করছেন দলটির কর্মীরা। এর বাইরেও জনসমর্থন বাড়াতে এলাকাভিত্তিক নানান কর্মসূচি পালন বা জনসংযোগ বাড়াচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এ আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে সুজানগর উপজেলা জামায়াতের আমির কেএম হেসাব উদ্দিনকে। দল মনোনীত প্রার্থীকে প্রথমবারের মতো এ আসন থেকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে ইতিবাচক সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি জামায়াত নেতাকর্মীদের। একইভাবে ভোটার বা জনসমর্থন বাড়াতে চেষ্টা করছেন জামায়াত প্রার্থী হেসাব উদ্দিনও।
এদিকে আওয়ামী বা ফ্যাসিবাদী দোসর তকমা জোটার পর তেমন খোঁজ মিলছে না জাতীয় পার্টির। কমিটি নেই এনসিপির, দেখা নেই কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীরও। তবে এ আসন থেকে গণঅধিকারের পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন দুজন। একজন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম সরওয়ার খান জুয়েল ও অন্যজন কেন্দ্রীয় উচ্চ পরিষদের সদস্য মাহবুব জনি।
পাবনা-২ আসনে আগে তেমন আলোচনায়ই ছিল না জামায়াতে ইমলামী। তবে সম্প্রতি এ আসনে জামায়াতের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সুজানগর ইউএনও অফিসে জামায়াতের চার নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর কয়েক দফায় তারা ব্যাপক জনসমাগমে প্রতিবাদ মিছিল ও মারধরের বিচার দাবিতে পথসভা করে। এসময় থেকেই এ আসনে জামায়াতের প্রভাব বাড়ার বিষয়টি নজরে আসে সবার।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বা অন্য কোনো দলের কাউকে তেমন মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
তবে শুরুতে এ আসনে সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম সাজ্জাদসহ বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন দুই হেভিওয়েট নেতা। একজন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও অন্যজন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য একেএম সেলিম রেজা হাবিব। সেলিম রেজা হাবিব ১৯৯৬ (খণ্ডকাল) ও ২০০১ সালে বিএনপির পক্ষে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তরুণ বয়স থেকেই এ অঞ্চলে রাজনীতি করায় এই জনপদে বড় একটি সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে তার। দলকে সুশৃঙ্খল ও সংঘবদ্ধ রাখতে আঞ্চলিক পর্যায়ে তার অবদান অন্য যে কারও তুলনায় বেশি বলে দাবি কর্মী-সমর্থকদের। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ সামাজিক ও মানবিক কাজেও তার অবদানের সাক্ষর রয়েছে আমিনপুর ও সুজানগরে। ফলে মনোনয়ন দৌড়ে তিনি অনেকটা এগিয়ে বলে ধারণা অনেকের। এদিকে হাসান জাফির তুহিন কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ায় কর্মী-সমর্থক দ্রুত তুলনামূলক বেড়ে যাওয়ায় এ রাজনৈতিক এলাকায় তারও একটি শক্ত অবস্থান তৈরি হয়। সবমিলিয়ে এ আসনে বিএনপির এ দুই নেতার জনসমর্থন অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায়। তাদের ঘিরে এই আসনে অন্তঃকোন্দলেও ভুগছেন নেতাকর্মীরা। দ্বিধাবিভক্তির অন্ত ছিল না নেতাকর্মীদের মধ্যে। কমিটি বা বিভিন্ন ইস্যুতে কয়েকটি বিশৃঙ্খল ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে সুজানগর ও আমিনপুরের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে এসব কোন্দল ও দ্বিধা-বিভক্তির ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে প্রথমবারের মতো এ আসন দখলে নেওয়ার চেষ্টা ছিল জামায়াত ইসলামীর। তবে এখন আর সেটি সহজ নয় বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা পাবনার আসনগুলোতে মনোনয়ন সংক্রান্ত জটিলতা ও কোন্দল নিরসনের জন্য একটি বৈঠক শেষে সেলিম রেজা হাবিবকে এ আসনে নির্বাচনমুখী কাজ চালানোর মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তার সঙ্গে নির্বাচনী কাজ করতে দলীয় সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে জেলা বিএনপি।
অন্যদিকে কৃষক দল নেতা হাসান জাফির তুহিনকে পাবনা-৩ আসনে নির্বাচনী কাজ আগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সব দ্বিধাবিভক্তি ও কোন্দলের অবসান ঘটানোর পথ সুগম হয়েছে। এতে স্থানীয় বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুরু থেকেই এ আসন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ফলে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে এ আসনটি দখলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির সম্ভাবনাই বেশি ছিল। তবে এখন এ সম্ভাবনা আরও বাড়লো বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
অসুস্থ থাকায় কয়েক দফা চেষ্টা করেও জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী কে এম হেসাব উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার পক্ষে সুজানগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর অর্থ সম্পাদক রফি আহমেদ খান বলেন, দুই বছর আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া। ফলে এখন আমাদের প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন কিছু নেই। মাঠপর্যায়ে প্রার্থী ও কর্মীরা মানুষের দরজায় গিয়ে আমাদের আহ্বান পৌঁছে দিচ্ছেন। মানুষ যেমন ভোট দিতে প্রস্তুত তেমন আমরাও ভোট লড়াইয়ে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আগে এ আসনে আমাদের কোনো প্রার্থী সংসদে যাননি। তবে এবার আমরা দারুণভাবে আশাবাদী। কেননা আগের তুলনায় এ আসনে আমাদের জনসমর্থন অনেক বেড়েছে। তরুণদের আমরা কাছে টেনেছি, তারাও আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে। এছাড়া কৃষকদের ভাগ্য বদল নিয়েও আমাদের ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা রয়েছে। সেদিক দিয়ে তাদের থেকেও ভালো সাড়া মিলছে। সবকিছু মিলিয়ে বিগত ইতিহাস বা রেকর্ড ভেঙে এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এই আসন থেকে আমাদের প্রার্থীকে সংসদ পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা আশাবাদী।
বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী একেএম সেলিম রেজা হাবিব বলেন, রাজনীতি বা ভোটের লড়াইয়ে কাউকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তবে আমি আমার বিজয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী। কারণ এ এলাকায় ৪০ বছর ধরে আমি রাজনীতি করি। এলাকার মানুষের কী প্রয়োজন সেগুলো জানি এবং তাদের হয়ে এ এলাকায় অনেক কাজ আমি করেছি। এ এলাকার বড় একটি অংশ বিল এলাকা। এখানে পেঁয়াজ বা চাষবাসে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে পরিকল্পনা রেখেছি। এরইমধ্যে এ নিয়ে কাজও চলমান।
নির্বাচনী এলাকায় দলের মধ্যে কোন্দল বা গ্রুপিংয়ের বিষয়টি বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে। এই কোন্দল বা গ্রুপিং আপনার বিজয়ে বাধা হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো আমি গ্রুপিং বলতে চাই না। এগুলো নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। প্রতিটি রাজনৈতিক দলে এসব থাকে। এর মধ্য দিয়ে আরও দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে ওঠে। এসব বিষয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। নির্বাচনে কেউই দলের বাইরে যায় না। সবাই দলের নির্বাচনই করে এবং বিজয়ী হয়।
এই আসনে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম সরওয়ার খান জুয়েলকে। প্রথমবারের মতো নতুন দল থেকে নির্বাচনে অংশ নিলেও বিজয় নিয়ে তিনিও আশাবাদী।
সুজানগর ও আমিনপুর নিয়ে নির্বাচনী এলাকার শতভাগই কৃষিপ্রধান এলাকা। এখানে জেলার সবচেয়ে বড় একটি অংশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কৃষি ও কৃষক নিয়ে যাদের ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে তাদের প্রতি এ আসনের ভোটারদের ঝোঁক তুলনামূলক বেশি। একইসঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কৃষিজমি ও বাড়িঘর বিলীন রোধের নিশ্চয়তা চান তারা। সুশৃঙ্খল ভোটের পরিবেশ পেলে মানুষের এসব স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রার্থীকেই ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করতে চান ভোটাররা।
এএইচআইএন/এসএইচএস/এমএফএ/জেআইএম