এস ইসলাম, লন্ডন থেকে
দীর্ঘ ২০ মাস পর ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে পুনর্মিলন হয়েছে প্রিন্স হ্যারীর। রাজা ও পুত্রের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যখন চার্লস প্রকাশ্যে জানান যে তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। ২০২০ সালে রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়া হ্যারি সেই সময় স্বল্প সময়ের জন্য লন্ডনে এসে মাত্র ৩০ মিনিট বাবার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
তবে এবার প্রায় দুই বছর পর, ১০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে হ্যারি গাড়িতে করে রাজার লন্ডন বাসভবন ক্ল্যারেন্স হাউসে পৌঁছান এবং বাবার সঙ্গে চায়ের আড্ডায় মিলিত হন। তিনি সেখানে প্রায় ৫৫ মিনিট অবস্থান করেন। পরে লন্ডনে আয়োজিত ইনভিক্টাস ইভেন্টে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হ্যারি সংক্ষেপে বলেন, ‘জি, উনি ভালো আছেন, ধন্যবাদ।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজা স্কটল্যান্ড থেকে উড়ে লন্ডনে এসে ক্ল্যারেন্স হাউসে প্রবেশ করেন। রাজপর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, হ্যারির এই সফরে তার বড় ভাই ও ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরসূরি প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মেগান মার্কলের সঙ্গে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই হ্যারি ধীরে ধীরে রাজপরিবার থেকে দূরে সরে গেছেন। রাজপরিবারবিষয়ক ইতিহাসবিদ মোক ও’কিফ মেট্রোকে বলেন, এটি হয়ত রাজপরিবারের মধ্যে জমে থাকা বিরোধ নিরসনের পথে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। আমরা প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময় পরিবারের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছি। এই দুই ডিউক এবং রাজাকে নিয়ে আমাদের আরও সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, রাজা চার্লসকে রানি ক্যামিলার সঙ্গে সুখী দেখতে পাওয়ায়ই জনগণ নতুন রানিকে মেনে নিয়েছে। সাসেক্সের ডিউক-ডাচেস নিয়ে মানুষের যাই ধারণা থাকুক না কেন, একইভাবে বাবা ও ছোট ছেলের সম্পর্কেও সেই সহমর্মিতা প্রযোজ্য।
চার দিনব্যাপী বিভিন্ন দাতব্য কার্যক্রমে অংশ নিতে সোমবার যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন হ্যারি। এদিকে স্ত্রী মেগান মার্কল ক্যালিফোর্নিয়ায় থেকে গেছেন দুই সন্তান— সাত বছর বয়সী আর্চি ও চার বছর বয়সী লিলিবেটকে দেখাশোনা করার জন্য।
এমআরএম/জিকেএস