কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার শিলাইদহে স্মৃতিবিজড়িত রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী চত্বরে বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বকুলতলায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম মিকাইল ইসলাম।
শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টডিয়ান আল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তিয়াশা চাকমা।
রবীন্দ্রনাথের জীবন, দর্শন ও সাহিত্যকর্মের ওপর আলোচনা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান।
এর আগে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী জাতীয় ও আড়ম্ভরপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। তবে প্রয়াণ দিবসটি উপলক্ষে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়িতে জাতীয়ভাবে কোনো আয়োজন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ও রবীন্দ্র ভক্তরা।
বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা সুনসান নীরবতা। হাতেগোনা কয়েকজন দর্শনার্থী ও ভক্তরা এসেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে।
প্রয়াণ দিবসের অনু্ষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করতে এসেছে কুমারখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী লুকাইবা রশিদ আনিনা। সে বলে, ‘কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীর অনু্ষ্ঠানের মতো প্রয়াণ দিবসেও গান করতে এসেছি। তবে প্রয়াণ দিবসে তেমন আয়োজন থাকে না। এটিও জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত।’
কবিগুরুর ৮৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, গান, কবিতা ও নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টডিয়ান আল আমীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, জন্মবার্ষিকীর ন্যায় প্রয়াণ দিবসটিও জাতীয়ভাবে পালনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
আল-মামুন সাগর/এসআর/জিকেএস