প্রয়োজন পরিবেশদূষণের টেকসই সমাধান : ব্যারিস্টার ফুয়াদ
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, সারা বছর আমাদের বায়ু মারাত্মক দূষিত। এটা শীতকালে জনগণের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ইটভাটার ধোঁয়া, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত সামগ্রীর পরিত্যক্ত অংশ যা যানবাহনের ধোঁয়া এবং শীতকালীন কুয়াশার সঙ্গে বাতাসে মিলে বায়ুদূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, যা মানুষের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের উপযুক্ত থাকে না। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন পরিবেশদূষণের টেকসই সমাধান।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শীতকালীন মৌসুমি জনদুর্ভোগ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ পরিবেশ দূষণ নিয়ে টেকসই সমাধানের পাশাপাশি আরও বলেন, আমাদের দেশের সরকার, বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরাও শীতকালে অসহায়, ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে যার অধিকাংশই সমন্বয়হীনতার কারণে সঠিক ব্যক্তি বা পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান, শীতবস্ত্র বিতরণের মতো অকার্যকর পদ্ধতি বাদ দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে শীতকালীন আর্থিক প্রণোদনা দিতে যাতে জনসাধারণ তার পরিবারের প্রয়োজন অনুযায়ী শীতবস্ত্র কিনে নিতে পারে।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমাদের দেশে শীতকালীন প্রচুর সবজির উৎপাদন হয়, যা সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। একই টমেটো কখন ১০০ টাকা কেজি আবার সেই টমেটোই ৫ টাকায় নেমে আসে। প্রায় প্রতিটি সবজিরই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ও বিপণনের সুবিধার্থে রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রিক হিমাগার তৈরি করলে বাজার ব্যবস্থা, সিন্ডিকেট রোধ ও কৃষক পর্যায়ে সঠিক মূল্য পাওয়া নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মফস্বল এলাকা পরিদর্শনের সুবাদে দেখলাম গ্রামাঞ্চলে এই শীতকালেও বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি।
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা গ্রামের মানুষকে গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ দিতে পারেন না আবার শীতেও তাদের ভোগান্তিতে রাখবেন সেটা হতে পারেনা। গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কুয়াশার কারণে ব্যাপক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, এ ব্যাপারে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক উৎসব শীতকালীন পিঠা-পায়েসের আয়োজন প্রতিটি শহর, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজসহ সর্বত্র আয়োজন করতে হবে, যেন এই সংস্কৃতি আমরা টিকিয়ে রাখতে পারি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল ও সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আব্দুল হক সানী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমেনা বেগম, ফেরদৌসী আক্তার অপি, রুনা হোসাইন, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যুবনেত্রী আফরোজা আক্তার পিংকি, ইসরাত জাহান, পল্টন থানার সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা রনিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।