ফরজ নামাজে এক রাকাতে সুরা ফাতেহার পর একাধিক সুরা পড়া যায়, তাতে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না। কোনো কোনো সাহাবি এভাবে কেরাত পড়তেন বলে বর্ণিত রয়েছে। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি ফরজ নামাজের এক রাকাতে একত্রে দুটি সুরা পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩৭১৪)
তবে ফরজ নামাজে এক রাকাতে একাধিক সুরা না পড়াই উত্তম। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, প্রত্যেক সুরার পর রুকু ও সিজদা করে তার হক আদায় করুন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩৭৩০)
নামাজের জামাতে মুক্তাদিরা কেরাত পড়বে?
মুক্তাদিরা জামাতে নামাজের ক্ষেত্রে কেরাত পড়বে না, বরং চুপ করে ইমামের কেরাত শুনবে। জামাতে নামাজে ইমামের কেরাতই মুক্তাদিদের কেরাত গণ্য হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন,
مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ، فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ
যে ইমামের পেছনে নামাজ পড়ছে, ইমামের কেরাতই তার কেরাত। (সুনানে ইবনে মাজা)
ইমাম যখন কোরআন তিলাওয়াত করেন, তখন ইমামের তিলাওয়াত শোনা মুক্তাদিদের ওপর ফরজ হয়ে যায়। কারণ আল্লাহ বলেছেন,
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
যখন কোরআত পড়া হয়, তখন চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শোনো, হয়তো তোমাদের দয়া করা হবে। (সুরা আরাফ: ২০৪)
ওএফএফ/এমএস