ফরিদপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতির ওপর হামলা, আটক ২ 

2 days ago 10

ফরিদপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান সিদ্দিকী কামরুলের ওপরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এতে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের গোয়ালচামটে মডেল মসজিদের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার মৃত সাত্তার শেখের ছেলে রিপন শেখ (৪৩)। তিনি ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাসিরের সহযোগী। তার নামে বিভিন্ন অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অপর আটক ব্যক্তি সোহাগ হাওলাদার।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় কামরুজ্জামান সিদ্দিকী কামরুলের ওপর চার থেকে পাঁচ জন মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে ফেলে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে সজল নামে এক ব্যক্তি ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাকে রাম দা দিয়ে আঘাত করে। পরে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে হামলাকারীরা। তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে চাপাতিসহ রিপন শেখকে হাতেনাতে আটক করে। পরে সোহাগ হাওলাদার নামে আরো এক জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের উভয়কে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

উপস্থিত জনতার জিজ্ঞাসাবাদে আটক রিপন জানায়, ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাসিরের নির্দেশে তারা কামরুজ্জামান সিদ্দিকী কামরুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লী সজল বলেন, পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের মডেল মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ আদায় করে বের হওয়ার সময় দেখতে পাই তিন-চারজন যুবক এক ব্যক্তিকে গলায় ফাঁস দিয়ে ধস্তাধস্তি করছে। এ সময় আমি এগিয়ে একজনকে জাপটে ধরার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ধারালো চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। তখন আমি হাত দিয়ে আটকাতে গেলে আমার দুই হাতের পাঞ্জা কেটে যায়। তখন উপস্থিত অন্য মুসল্লিরা সেখানে জড়ো না হলে একটি মারাত্মক অঘটন ঘটে যেতে পারতো।

কামরুজ্জামান সিদ্দিকী কামরুল বলেন, তিনি মাগরিবের নামাজ আদায়ের পরে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে একজন মাফলার দিয়ে তার গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি হাত দিয়ে মাফলার সরানোর চেষ্টা করলে সামনে থেকে দু-তিনজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে কোপাতে আসে। এ সময় তার সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে উপস্থিত মুসল্লিরা তাকে রক্ষা করে।

কামরুল জানান, এর আগেও একবার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় তার ওপরে গুলি চালানো হয়। এছাড়া আরও একবার তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা।

জানতে চাইলে ফরিদপুরের কোতয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুলের ওপরে হামলার ঘটনায় জড়িত একজনকে হাতেনাতে আটক করে জনতা পুলিশে সোপর্দ করেছে। পরে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

Read Entire Article