ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ২৫ বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তুজারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুজারপুর গ্রামের ওহাব ভুঁইয়ার সঙ্গে ওমর মাতুব্বর ও রাজু মীরের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শনিবার রাতে তুজারপুর বাজারের ওয়াজ মাহফিল চলাকালে ওহাব ভুঁইয়ার দলের ইমন ভূঁইয়ার সঙ্গে ওমর মাতুব্বরের লোকজনের মারামারি হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ডাল, শরকি, কাতরা, টেঁটা, ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় প্রায় ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা একত্র হয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ওহাব ভূঁইয়া জানান, ওমর মাতুব্বর পক্ষের কয়েকজন লোককে শনিবার রাতে তুজারপুর গ্রামে ধরতে পুলিশ আসে। তখন তারা ধারণা করে আমার দলের ইমন নামের একটা ছেলে পুলিশকে তাদের বাড়ি ঘর দেখিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে ওমর মাতুব্বর দলের তামিম, জাহিদুল ও মানিক মোল্লা ইমনকে মারধর করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ ব্যাপারে ওমর মোল্লা জানান, ওহাব ভূঁইয়া দলের লোকজন আমার দলের লোকজনের প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। তারা আমাদের ওপরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। আমাদের দলের ১৫-২০ লোকজন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/জিকেএস