ফরিদপুরে যুবককে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ

3 months ago 12

ফরিদপুরের শহরতলীর হোগলাকান্দি গ্রামে মোবাইল ফোনে লুডু (জুয়া) খেলা নিয়ে মো. ইজ্জল শেখ (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে মারধরের পর বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৮ জুন) রাতে ময়নাতদন্ত শেষে যুবকের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।

এর আগে শনিবার (৭ জুন) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. ইজ্জল শেখ সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন।

পুলিশ, পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন শনিবার দুপুরে কানাইপুরের হোগলাকান্দি বাজারের পাশে নদীর তীরে মোবাইল ফোনে জুয়া (লুডু) খেলেন ইজ্জল শেখ ও স্থানীয় হানিফ শেখ। খেলা শেষে মোবাইল ফোন খুঁজে না পেয়ে হানিফ শেখ তাকে ডেকে এনে মারধর করেন। পরে ইজ্জল শেখ মোবাইল ফোনটি খুঁজে এনে ফিরিয়ে দেন। এর জের ধরে ওইদিন বিকেলে আবারও হানিফ ও তার সহযোগীরা ইজ্জলকে মারধর করেন। কিছু সময় পর ইজ্জল শেখকে রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এ সময় তার মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। পরে রাত ৯ টার দিকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হানিফ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

নিহতের বোন ফরিদা খাতুন বলেন, আমার ভাই মারা যাওয়ার আগে তাকে কারা মেরেছে তাদের নাম লিখে গেছে।

নিহত যুবকের স্ত্রী নবীরন বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীকে মারধরের পর তার মুখে বিষ ঢেলে নদীতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন মীমাংসার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই।

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন বলেন, ইজ্জল শেখের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।পুলিশকে তদন্তের অনুরোধ করছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। তবে পরিবার মারধর ও হত্যার অভিযোগ দিয়েছে, তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এন কে বি নয়ন/এমএএইচ/

Read Entire Article