ফরিদা পারভীনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, দোয়া চেয়েছে পরিবার

19 hours ago 1

লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে দেশবরেণ্য লালন-সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, ‘রোগীর রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। সংক্রমণ বেড়ে গেছে। কিডনি জটিলতা তো আছেই। সবমিলিয়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

গায়িকার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে তার বড় ছেলে ইমাম নিমেরি উপলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গুরুতর অবস্থায় মাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন।’

ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। ভোগান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাকে এখন সপ্তাহে দুদিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

এরপর থেকে তিনি হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও তার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েড জটিলতা রয়েছে।

১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গেয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে লালনগীতির তালিম নেন এবং ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি।

সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৭ সালে তিনি লাভ করেন একুশে পদক। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন ‘অচিন পাখি স্কুল’।

এমআই/এলআইএ/এএসএম

Read Entire Article