স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়তে সহায়ক হচ্ছে স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মসূচি

22 hours ago 6

হাসপাতালে দেওয়া স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মসূচি মা ও নবজাতকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হচ্ছে বলে নূরা হেলথ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই গবেষণার ফলাফল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রকাশ করা হয়।

দেশব্যাপী স্পেশাল কেয়ার নিওনেটাল ইউনিটে (স্ক্যানু) নূরা হেলথ পরিচালিত কেয়ার কম্প্যানিয়ন প্রোগ্রাম (সিসিপি) সেশনের কার্যকারিতা নিয়ে করা গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যশিক্ষা পাওয়া মায়েদের মধ্যে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো (ইবিএফ) সম্পর্কে সচেতনতা দ্বিগুণ বেড়েছে এবং এই চর্চার হার ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) বিষয়ে সচেতনতা ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এবং বাস্তব প্রয়োগে সিসিপি গ্রুপের মায়েদের হার দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া নবজাতকের যত্নে খাওয়ানোর পর ঢেকুর তোলা ও নাভির যত্ন নেওয়ার মতো বিষয়গুলোতেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে। তবে গবেষণায় দেখা যায়, হাত ধোয়া ও নবজাতকের বিপদচিহ্ন শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সচেতনতার উন্নতি তুলনামূলক কম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করা আমাদের জাতীয় লক্ষ্য। কেয়ার কম্প্যানিয়ন প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগ এ লক্ষ্য পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শেখ সাইদুল হক তার বক্তব্যে স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মসূচিকে স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থাপনার (এমআইএস) সঙ্গে যুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

নূরা হেলথ বাংলাদেশের কো-কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. আরেফিন অমল ইসলাম জানান, ২০২২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১৪ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্যশিক্ষা দিয়েছে এবং ৫৬৫টি হাসপাতালে প্রায় ৩ হাজার নার্স ও মিডওয়াইফকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাই কেয়ার কম্প্যানিয়ন প্রোগ্রামকে (সিসিপি) সরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

নূরা হেলথ-এর কো-সিইও ডা. শাহেদ আলম বলেন, সরকারি হাসপাতালের নার্সদের সহযোগিতা ছাড়া এই ইতিবাচক প্রভাব তৈরি সম্ভব হতো না। ভবিষ্যতে আমরা আরও নতুন ক্ষেত্রে কাজ প্রসারিত করতে চাই।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ডা. উম্মে রুমান সিদ্দিকী।

এসইউজে/এমএমকে/এমএস

Read Entire Article