ফসলি জমিতে মাটি কাটার মচ্ছব

4 hours ago 5

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দিনে-রাতে সমানতালে চলছে তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার মচ্ছব। টপ সয়েল (মাটির উপরিভাগ) কেটে ফেলায় উর্বরতা হারাচ্ছে জমি। মাঝে মধ্যে প্রশাসন অভিযান চালালেও থামছে না মাটি কাটা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিভিন্ন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটছেন অসাধু লোকজন। দিনের বেলায় কিছুটা কম কাটলেও সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত চলতে থাকে মাটি কাটার প্রতিযোগিতা। মাটি বহন করা গাড়ির কারণে অনেকে সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ফসলি জমিতে মাটি কাটার মচ্ছব

বেশিরভাগ মাটি যাচ্ছে ইটভাটাতে। ভাটা মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে মাটি কাটছেন রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায় থাকা কিছু ব্যক্তি। অনেক জায়গা ভরাট করতে ফসলি জমির মাটি নেওয়া হচ্ছে। এসব মাটি কাটার ফলে আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমছে। হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ফসলি জমি। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

উপজেলার কাটাছরা ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর হোসেন মানিক বলেন, ‘প্রতিরাতে শত শত ট্রাক ভর্তি করে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত সবাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।’

ফসলি জমিতে মাটি কাটার মচ্ছব

দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা আলী নেওয়াজ বলেন, ‘প্রতিরাতে ঘরের পাশ দিয়ে ট্রাক চলাচলের কারণে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এগুলো দেখার কেউ নেই।’

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, ধুম, ওচমানপুর, ইছাখালী, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মঘাদিয়া, সাহেরখালী ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলি জমিতে মাটি কেটে পুকুর বানানো হচ্ছে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা বলেন, জড়িতদের শাস্তির পাশাপাশি মাটি কাটার সরঞ্জাম জব্দ করা হচ্ছে। মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার সুযোগ নেই।

এম মাঈন উদ্দিন/এসআর/জিকেএস

Read Entire Article