ফাঁকা দাঁত ঠিক করা কি জায়েজ?

2 days ago 8

দাঁতে ত্রুটি থাকলে অর্থাৎ দাঁতের পাটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলে বা দাঁত খারাপ দেখায় এ রকম উঁচু, ফাঁকা বা আঁকাবাঁকা হলে ত্রুটি দূর করার জন্য চিকিৎস গ্রহণ করা জায়েজ। এটা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি গণ্য হবে না। কিন্তু দাঁত যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে দাঁতের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে অধিকতর সৌন্দর্যের জন্য দাঁত সরু করা বা দাঁতের মধ্যে ফাঁক সৃষ্টি করা ইত্যাদি বৈধ নয়।

আল্লাহর রাসুল রাসুল (সা.) ভ্রু উপড়ে ফেলা, দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা ইত্যাদি রূপচর্চাকে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিকৃতি গণ্য করে এগুলো যারা করে তাদের অভিশপ্ত বলেছেন। রাসুল (সা.) বলেন,

لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُوتَشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّ
আল্লাহ ওই সব নারীকে লানত করেছেন, যারা উল্কি অঙ্কন করে বা করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রূ উপড়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে; এরা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি ঘটিয়েছে। (সহিহ বুখারি: ৪৮৮৬)

যদিও শরীরে কোনো ত্রুটি সৃষ্টি হলে সেটা ঠিক করা বৈধ। রাসুলের (সা.) যুগে এক ব্যক্তির নাক কেটে গেলে তিনি রুপার ও রাসুলের (সা.) নির্দেশে পরবর্তীতে স্বর্ণের নাক বানিয়ে নিয়েছিলেন। আরফাজা ইবনে আসআদ (রা.) বলেন, জাহেলি যুগের কুলাব যুদ্ধের সময় আমার নাকে আঘাত লাগে। তখন আমি একটি রূপার নাক বাঁধিয়ে নেই। কিন্তু তা দুর্গন্ধময় হয়ে পড়লে রাসুল (সা.) একটি স্বর্ণের নাক বানিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। (সুনানে তিরমিজি: ১৭৭৬)

কারণ এ ক্ষেত্রে স্বর্ণ ও রুপার নাক ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিলো ত্রুটি দূর করা, নিছক সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করা নয়।

ওএফএফ/জেআইএম

Read Entire Article