৯ দিন পরই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। অথচ এখনো দলগুলোর কাছ থেকে ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ অর্থ বুঝে পায়নি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বার বার সময় বাড়িয়েও তা বুঝে পাচ্ছে না বিসিবি। উপায় না পেয়ে এবার চিঠির মাধ্যমে দলগুলোকে বিসিবি থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো অর্থ জমা দিতে।
বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বিতর্কমুক্ত বিপিএল আয়োজন। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলগুলোকে একের পর এক ছাড় দিয়ে গেছেন তিনি। অথচ তাতেও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাননি তিনি। সাড়ে ৮ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি থাকলেও সেটা কমাতে কমাতে নিয়ে এসেছে ৩ কোটিতে। তাতেও এখন পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে সে অর্থ বুঝে পায়নি বোর্ড। এবার তাই দলগুলোকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো অর্থ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
শুরুতে ১৫-২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বার বার গড়িমশি করেই যাচ্ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এবার অর্থের পরিমাণ অর্ধেক করেও মিলছে না সাড়া। সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর গ্যারান্টি মানি আরেক দফায় কমায় গভর্নিং কাউন্সিল। সিদ্ধান্ত হয় প্রত্যেক দলকে ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ জমা দিতে হবে ৩ কোটি টাকা। দলগুলোকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি এবারের আসরে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। অথচ বিপিএলের নবম ও দশম আসরে এই অর্থের পরিমাণ ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা। পরে ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নিয়ে সেটা কমিয়ে এনেছিলেন ৬ কোটিতে।
বলে রাখা ভালো, খেলোয়াড়দের বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে প্রায় প্রতিবছর বিপাকে পড়তে হয় বিসিবিকে। এতে আইসিসি, খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক সংগঠন (ফিকা) বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে চাপ তৈরি করে তাদের ওপর।