বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহালী আখতারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আইসিসির দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত নিয়মের পাঁচটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ার পরই এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়।
কী কী অভিযোগ রয়েছে?
আইসিসির এন্টি-করাপশন কোড অনুযায়ী, সোহালী আখতার ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলো হলো—
২.১.১ ধারা: ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচের ফলাফল, পারফরম্যান্স বা অন্য কোনো দিককে প্রভাবিত করার জন্য ষড়যন্ত্র বা অংশগ্রহণ করা।
২.১.৩ ধারা: ম্যাচ ফিক্সিং বা বাজির উদ্দেশ্যে ম্যাচের নির্দিষ্ট ঘটনার ফলাফল নিশ্চিত করতে ঘুষ গ্রহণ বা প্রস্তাব গ্রহণ করা।
২.১.৪ ধারা: অন্য কোনো খেলোয়াড়কে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা বা এতে সহায়তা করা।
২.৪.৪ ধারা: আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (ACU) সময়মতো কোনো দুর্নীতির প্রস্তাবের তথ্য না জানানো।
২.৪.৭ ধারা: দুর্নীতির তদন্তে বাধা প্রদান করা, তথ্য গোপন করা বা তথ্য নষ্ট করা।
কখন থেকে কার্যকর হবে নিষেধাজ্ঞা?
সোহালী আখতার তার দোষ স্বীকার করায় আইসিসির দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন। ফলে ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী পাঁচ বছর তিনি কোনো ধরনের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না।
আইসিসির তদন্ত অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (দক্ষিণ আফ্রিকা) ম্যাচ-ফিক্সিং সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে সোহালীর সম্পৃক্ততা ছিল। যদিও তদন্তের স্বার্থে আইসিসি তার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
সোহালী আখতারের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা। ম্যাচ ফিক্সিং ও দুর্নীতির অভিযোগে আগেও বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা শাস্তির মুখে পড়েছেন। এবার নারী ক্রিকেটেও এমন ঘটনা ঘটায় বিষয়টি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
আইসিসির এন্টি-করাপশন কোডের পূর্ণাঙ্গ নথি ও সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংস্থাটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।