ফিলিপাইনে সুপারটাইফুন মান-ইর প্রভাবে ভূমিধসে ৮ জন নিহত হয়েছে। শক্তিশালী এই ঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে, বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে ফিলিপাইনে এ নিয়ে ছয়টি বড় ধরনের ঝড় আঘাত হানলো। খবর আল জাজিরার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় নুয়েভা একিজা প্রদেশে শক্তিশালী ঝড়ের প্রভাবে ভূমিধস আঘাত হেনেছে। এতে ৮ জন নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ ম্যারকোস বলেছেন, যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড় ততটা আগ্রাসী হয়নি।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে শক্তিশালী টাইফুনটি কাটানডুয়ানেস দ্বীপে আছড়ে পড়ে। এ সময় বাতাসের স্থায়ী গতি ছিল ১৯৫ কিলোমিটার (১২১ মাইল)।
টাইফুন আঘাত হানার আগেই লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। বাতিল করা হয় বেশ কিছু ফ্লাইট। মাছ ধরার নৌকা থেকে শুরু করে বড় ট্যাংকারসহ সব ধরনের নৌযানকে বন্দরে ফেরারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
- আরও পড়ুন:
- ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন মান-ই, বিপর্যয়ের সতর্কতা
- প্রশান্ত মহাসাগরে একসঙ্গে ৪ ঘূর্ণিঝড়, ফিলিপাইনে বড় বিপদের শঙ্কা
- ঘূর্ণিঝড় ট্রামি: ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৬, নিখোঁজ বহু
ফিলিপাইনে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় আঘাত হানে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি ভয়াবহ ভূমিধসেরও কারণ হয়। দেশটিতে গত অক্টোবরে টাইফুন কং-রেই এবং ট্রামির আঘাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ১৬২ জনের মৃত্যু হয় এবং আরও ২২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
টিটিএন