ফুসফুসের মারাত্মক ব্যাধি সিওপিডির লক্ষণ কী কী?

1 day ago 3

ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের ব্যাধি মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হতে পারে সিওপিডি। ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি মূলত একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক ফুসফুসের ব্যাধি। ফুসফুস থেকে বায়ুপ্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে এই রোগ। এর প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে আছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, শ্লেষ্মা (থুথু) ও শ্বাসকষ্ট।

ধূমপায়ীদের মধ্যেই রোগটির ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এছাড়া বায়ু দূষণের কারণেও ফুসফুসে বাসা বাঁধে মারাত্মক এই ব্যাধি। সিওপিডি আক্রান্তদের মধ্যে হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের ঝুঁকি অন্যান্যদের চেয়ে বেশি।

এমফিসিমা ও দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস মারাত্মক ব্যাধি সিওপিডি’তে রূপ নেয়। দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস হলো ব্রঙ্কিয়াল টিউবের আস্তরণের প্রদাহ, যা ফুসফুসের বায়ু থলিতে (অ্যালভিওলি) বাতাস বহন করে। দীর্ঘদিনের কাশি ও শ্লেষ্মার (থুথু) সমস্যা ব্রঙ্কাইটিসের ইঙ্গিত দেয়।

আর এমফিসিমা তখনই ঘটে, যখন মূলত সিগারেটের ধোঁয়া ও অন্যান্য বিরক্তিকর গ্যাস বা কণাজাতীয় পদার্থের ক্ষতিকারক এক্সপোজারের ফলে ফুসফুসের ক্ষুদ্রতম বায়ুপথের (ব্রঙ্কিওল) অ্যালভিওলি ধ্বংস হয়ে যায়।

সিওপিডি এমন এক ব্যাধি যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ লক্ষণ প্রকাশ করে। এই মারাত্মক ব্যাধি চিকিত্সাযোগ্য। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে, সিওপিডিতে আক্রান্তরা এর গুরুতর লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এজন্য অবশ্যই জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করতে হবে।

আরও পড়ুন

সিওপিডির লক্ষণসমূহ কী কী?

>> শ্বাসকষ্ট বিশেষ করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সময়
>> ঘ্রাণ
>> বুকে টান
>> দীর্ঘস্থায়ী কাশি
>> শ্লেষ্মা বা কফ ওঠা (সাদা, হলুদ বা সবুজ)
>> ঘন ঘন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ
>> শক্তির অভাব
>> ওজন কমে যাওয়া
>> পায়ের গোড়ালি বা পায়ে ফোলাভাব

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

এসব লক্ষণ দেখলে এমনকি জ্বর বা কফের রং পরিবর্তন দেখলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট, ঠোঁট বা নখ নীলচে হয়ে যাওয়া, দ্রুত হৃদস্পন্দন, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণ দেখলে দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।

আজ বিশ্ব সিওপিডি দিবস। প্রতিবছর নভেম্বরের তৃতীয় বুধবার বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী এই ব্যাধি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে পালিত হয় বিশ্ব সিওপিডি দিবস।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক/ন্যাশনাল টুডে

জেএমএস/জেআইএম

Read Entire Article