ফের মাস্টার্সের সুযোগ চান সাবেক সমন্বয়কসহ ৬ নেতা

14 hours ago 7

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক সমন্বয়কসহ ছয়জন ছাত্রদল নেতা ছাত্রত্ব ধরে রাখতে দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ চেয়েছেন। এরই মধ্যে শাখা ছাত্রদলের পাঁচজন নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। তারা সবাই আবেদনে নিজ নিজ বিভাগের সভাপতিকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

আবেদনকারীরা হলেন— রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার শেখ। এ ছাড়া সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেননি।

আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে রাজনৈতিক হয়রানি ও কারাবরণের কারণে সুষ্ঠুভাবে মাস্টার্স সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।’ এ কারণেই তারা ফের মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান।

এর মধ্যে তুষার শেখ আবেদন করেছেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে। সুলতান আহমেদ রাহী, সর্দার জহুরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম শফিক ও শাকিলুর রহমান সোহাগ আবেদন করেছেন ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে।

সূত্র জানায়, ওই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক।

শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আমি আরও আগেই দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবকেও আবেদনপত্র দিয়েছি।’

সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম। উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়েছে ১১ মাস পরে। আমার ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমরা ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থীরা রাকসুতে অংশ নিতে চাই। এজন্য দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার চিন্তা করছি।’

এ বিষয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব কালবেলাকে বলেন, ‘আমাকে কয়েকজন শিক্ষার্থী আবেদন দিয়েছেন। আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এটিকে রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে দেখা হবে না। এটি পুরোপুরি একাডেমিক বিষয়। একাডেমিশিয়ানরাই নিয়ম অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ছাত্ররা আবেদন করতে পারে, আমরা নিয়মকানুন অনুযায়ী তা বিবেচনায় নেব।’

Read Entire Article