ফের রিমান্ডের খবরে নাসার নজরুল বললেন ‘হার্ট অ্যাটাক করব’

জুলাই আন্দোলনের আরেক মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। জুলাইয়ে কামাল হোসেন প্রকাশ সবুজ হত্যায় গুলশান থানার মামলায় রিমান্ড শুনানি চলাকালে নজরুল ইসলাম বিচারককে উদ্দেশ বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। আমার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে। অনেকবার জেলখানায় হার্টে পেইন (ব্যথা) উঠেছে। জেলখানায় চিকিৎসাও চলছে। আবারও যদি রিমান্ডে নেওয়া হয় তাহলে আমি হার্ট অ্যাটাক করবো স্যার (বিচারক)।’ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।  এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক রেজাউল করিম আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ঘটনাস্থলের আশপাশে বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ করি। বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও আমার গোপনীয় তদন্তে উল্লেখিত আসামি এই মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর সহযোগী আসামিদের মধ্যে অর্থ সরবরাহ ও পর্যায়ক্রমে উসকানি দিয়েছে মর্মে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাও

ফের রিমান্ডের খবরে নাসার নজরুল বললেন ‘হার্ট অ্যাটাক করব’

জুলাই আন্দোলনের আরেক মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। জুলাইয়ে কামাল হোসেন প্রকাশ সবুজ হত্যায় গুলশান থানার মামলায় রিমান্ড শুনানি চলাকালে নজরুল ইসলাম বিচারককে উদ্দেশ বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। আমার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে। অনেকবার জেলখানায় হার্টে পেইন (ব্যথা) উঠেছে। জেলখানায় চিকিৎসাও চলছে। আবারও যদি রিমান্ডে নেওয়া হয় তাহলে আমি হার্ট অ্যাটাক করবো স্যার (বিচারক)।’

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। 

এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক রেজাউল করিম আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ঘটনাস্থলের আশপাশে বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ করি। বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও আমার গোপনীয় তদন্তে উল্লেখিত আসামি এই মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর সহযোগী আসামিদের মধ্যে অর্থ সরবরাহ ও পর্যায়ক্রমে উসকানি দিয়েছে মর্মে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী বাপ্পিসহ অনেকেই তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, নজরুল ইসলাম এই মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি। ঘটনার সঙ্গে আসামির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তদন্ত কর্মকর্তা তা নিজের মুখে বলেছেন। জুলাই আন্দোলনের সময় আসামি দেশে ছিলেন না। গত বছরের ২ তারিখ তিনি দেশের বাহিরে ছিলেন। আসামি বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তি। মানবিক দিক বিবেচনা করে রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি।

এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা নাসার নজরুল বলেন, আমি অনেক গুরুতর অসুস্থ। এই আমার অসুস্থতার কাগজপত্র। এই বলে তার হাতে থাকা কাগজপত্র বিচারককে দেখান। এ সময় নজরুল ইসলাম আরও বলেন, আমি হার্টের রোগী। আমার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে। অনেকবার জেলখানায় হার্টে পেইন (ব্যথা) উঠেছে। জেলখানায় চিকিৎসাও চলছে। আমার বুকের রাইট কর্নারে ব্যথা ওঠে। মামলা যেহেতু হয়েছে, কিছুই করার নেই। আবারও যদি রিমান্ডে নেওয়া হয় তাহলে আমার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক করবো। আমি অসুস্থ, বয়স্ক ব্যক্তি। প্রয়োজনে জেলগেট জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিতে পারেন। আমি একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী। যেহেতু মামলা হয়েছে, রিমান্ডেও নিতে পারেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন এর বিরোধিতা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একদিনে ফ্যাসিস্ট সরকার হয়ে ওঠেননি। আসামিরা অর্থ জোগান দিয়ে তারা ফ্যাসিস্ট সরকার হওয়ার জন্য সহযোগিতা করেছে। আসামি ঘটনার সাথে জড়িত, তিনি একজন অর্থ জোগানদাতা। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির ১০ দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করছি। 

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই গুলশান থানার শাহজাদপুর বাটার গলি এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন কামাল হোসেন প্রকাশ সবুজ (৪০)। ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় এ বছরের ৭ জুলাই রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow