ফ্যান চালিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

3 months ago 16

গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে অনেকেই এসির ওপর নির্ভর করে থাকেন। তবে সবসময় এসি চালানো সম্ভব নয়—বিদ্যুৎ বিল, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবেশগত কারণে অনেকেই শুধু ফ্যানের ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু শুধু ফ্যান চালালেই কি ঘর ঠান্ডা রাখা সম্ভব? হ্যাঁ, কিছু কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফ্যান দিয়েও ঘর অনেকটা ঠান্ডা রাখা যায়।

১. সঠিকভাবে ফ্যান ব্যবহার
সিলিং ফ্যানের দিক ঠিক করুন: সিলিং ফ্যান যদি ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘোরে, তবে সেটা বাতাস নিচে ঠেলে দেয়, ফলে ঘরে ঠান্ডা অনুভব হয়। গ্রীষ্মকালে এই সেটিং ব্যবহার করা উচিত।

ডেস্ক বা স্ট্যান্ড ফ্যান জানালার দিকে রাখুন: যদি ঘরের বাইরের বাতাস ঠান্ডা হয় (যেমন রাতে), তাহলে ফ্যান জানালার দিকে রেখে বাইরের ঠান্ডা বাতাস ভেতরে আনুন। আর যদি বাইরের বাতাস গরম হয়, তাহলে ফ্যান জানালার দিকে রেখে গরম বাতাস বের করে দিন।

২. বরফ বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন
একটি বড় বাটি বা ট্রেতে বরফ নিয়ে ফ্যানের সামনে রাখলে ফ্যান বাতাসকে বরফের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে দেয়। এটি এক ধরনের ডিআইওয়াই কুলার হিসেবে কাজ করে।

৩. ঘরের পর্দা ও জানালার ব্যবহার
দিনের বেলা সূর্যের আলো ঢুকলে ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই ঘন পর্দা ব্যবহার করে রোদ আটকান। সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার আগে জানালা খুলে দিন যাতে তাজা বাতাস ঢুকতে পারে, আর সন্ধ্যায় জানালা বন্ধ রাখুন।

৪. বাতাস চলাচলের পথ তৈরি করুন
ঘরের দুপাশে দুটি জানালা খুলে রাখলে একপাশ দিয়ে বাতাস ঢুকে অন্যপাশ দিয়ে বের হয়। একে বলে ‘ক্রস ভেন্টিলেশন’। ফ্যানের সাহায্যে এই প্রবাহকে আরও ত্বরান্বিত করা যায়। একজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। রান্নাঘরের গরম বাতাস বের করতে যেমন এটজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করেন তেমনি ঘরেও করতে পারেন।

৫. তাপ উৎস কমান
কম আলো জ্বালান বা এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। দিনের বেলায় রান্না না করাই ভালো, কারণ রান্নাঘরের তাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।

৬. ঘরের জিনিসপত্র ও রঙের প্রভাব
হালকা রঙের পর্দা, চাদর ও দেওয়াল ঘরকে ঠাণ্ডা রাখে, কারণ এগুলো আলো প্রতিফলিত করে। ভারী কাপড় বা গাঢ় রং তাপ ধরে রাখে-এগুলো এড়িয়ে চলুন।

৭. রাতে ঘর ঠান্ডা রাখা
রাতে বাইরের বাতাস সাধারণত ঠান্ডা হয়। তখন জানালা খুলে ফ্যান চালালে ঠান্ডা বাতাস সহজেই ঘরে ঢোকে। বিছানায় হালকা সুতির চাদর ব্যবহার করুন এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

কেএসকে/জেআইএম

Read Entire Article