ফ্যাসিস্টরা যত টাকাই বিনিয়োগ করুক, নির্বাচন হতে হবে: দুদু

2 days ago 5

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের উদ্যোক্তা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। একটা ভালো নির্বাচন হোক, আওয়ামী লীগ তা চায় না। যত বড় ষড়যন্ত্রই হোক, ফ্যাসিস্টরা যত টাকাই বিনিয়োগ করুক না কেন, নির্বাচন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এই অবস্থায় অতীতে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন এখন তাদের আরও বেশি করে দায়িত্ব পালন করতে হবে জানিয়ে দুদু বলেন, বিএনপি মনে করে ড ইউনূসের অধীনে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন ঐতিহাসিকভাবে সম্পন্ন হবে। কারণ ডক্টর ইউনূস নিজেই জাতির কাছে কথা দিয়েছেন তিনি একটি ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। গত তিনটি নির্বাচন শেখ হাসিনা আত্মসাৎ করেছে, লুট করেছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর গণতন্ত্রের পতাকা ওড়ানোর যে দায়িত্ব সেই দায়িত্ব বর্তমান সরকার নিয়েছে। বিএনপি এই সরকারকে সমর্থন জানায়।

তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের উদ্যোক্তা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। একটি ভালো নির্বাচন হোক আওয়ামী লীগ তা চায় না। যত বড় ষড়যন্ত্রই হোক, ফ্যাসিস্টরা যত টাকাই বিনিয়োগ করুক না কেন, নির্বাচন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, কেউ কেউ নির্বাচন ঠেকানোর জন্য, বিএনপি যেন ক্ষমতায় না আসে তার জন্য, তারেক রহমান যেন ক্ষমতায় না আসেন, প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন তার জন্য নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে ভিপি নূরকে পিটিয়েছে, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানকে কুপিয়েছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে আগামী নির্বাচনকে বানচাল করা। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ যদি আবার জেগে ওঠে তাহলে এসব আঘাতকারীদের কিন্তু রেহাই হবে না।

ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেশি বাড় বাড়া ঠিক হবে না। বেশি বাড়লে বিপদ আছে।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আগামী দিনে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারি, এক্সক্লুসিভ নির্বাচন যদি করতে না পারি তাহলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপদে পড়বে। তাই আসুন ঐক্যবদ্ধ থাকি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেটা চেয়েছিলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যেটা চেয়েছেন, ১৬ বছরের যে আন্দোলন-সংগ্রাম, রাজপথে যে রক্ত, ত্যাগ, জুলুমের মুখোমুখি হওয়া সেটা শেষ হতে হবে। এবং তা শেষ করতেই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য (ডক্টর সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

কেএইচ/এএমএ/জেআইএম

Read Entire Article