আগে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিল দুই দলের শেষ ষোলোর যাত্রা। তাই কারা গ্রুপ রানার্সআপ হবে আর কোনো দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে এবং তৃতীয় স্থানই বা দখল করবে কারা, সেটা নিয়েই চলছিল লড়াই। তবে নেদারল্যান্ডসকে চমকে দিয়ে ও হতাশায় ডুবিয়ে গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হলো অস্ট্রিয়া। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ রানার্সআপদের ৩-২ ব্যবধানে হারালো রাল্ফ রাগনিকের দল।
গ্রুপ রানার্সআপ হতে ডাচদের বিপক্ষে ড্র করলেই হতো। কিন্তু সেটাও পারলো না কোয়েম্যানের দল। ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় অস্ট্রিয়া। ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটেই অপ্রত্যাশিতভাবে এগিয়েও যায় তারা।
দনিয়েল মালেনের আত্মঘাতী গোলে নেদারল্যান্ডস শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে। এই টুর্নামেন্টে এটি ৭ম আত্মঘাতী গোল। ২৪ মিনিটে মালেনের দুর্দান্ত শট সামান্য একটু বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৩৮ নিনিটে মার্কো অরনাতোভিচের শট তালুবন্দি করেন ডাচ গোলরক্ষক।
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতি থেকে ফিরেই সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। জাভি সিমনসের পাস থেকে দারুণ গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কোডি গাকপো।
৫৯ মিনিটে আবারও এগিয়ে (২-১) অস্ট্রিয়া। এবার রোমান্ড সিমিডের দারুণ হেড খুঁজে পায় গোলের নিশানা। দারুণ উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দিতে থাকে দুই দলই।
৭৫ মিনিটে আবারো সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। ডি-বক্সের ভেতর থেকে দারুণ ভলি শটে দলকে ২-২ ব্যবধানে সমতায় ফেরান মেম্ফিস ডেপায়।
এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে ৮০ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। এবার মার্সেল সাবিতজার ডি-বক্সের ডান কোনা থেকে বাঁ পায়ের দারুণ শটে গোল করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
৮৬ মিনিটে বেঘহোর্স্টের দারুণ হেড গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। শেষদিকে ডাচরা আরও কিছু আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি। ফলে ৩-২ ব্যবধানে হেরে তৃতীয় হয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করে নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে অস্ট্রিয়া সবাইকে অবাক করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে নিশ্চিত করেছে।
আরআর/এমএইচ/