আগস্ট মাসকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ‘আওয়ামী লীগ’। ১৫ আগস্ট প্রথম প্রহরে পুলিশের চোখ এড়িয়ে শহরের একটি অজ্ঞাত স্থানে তারা শোক মিছিল করেছে।
একই সময়ে ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর ভেঙে ফেলা কার্যালয়ে নতুন করে ব্যানার লাগানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো স্থানীয় পর্যায়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং অনেককেই ভাবাচ্ছে যে ফ্যাসিবাদী দলগুলো আবার সক্রিয় হচ্ছে কি না।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) প্রথম প্রহরে সংক্ষিপ্ত এই শোক মিছিলের দুটি ভিডিও 'বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ' নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শোক মিছিলে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতে ফুলের মালা দেওয়া হচ্ছে এবং মোমবাতি জ্বালানো হচ্ছে। এ সময় বাজছিল 'যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই' গানটি।
অন্য একটি ভিডিওতে ১০-১৫ জন নেতাকর্মীকে মুখে মাস্ক এবং মাথায় হেলমেট পরে মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে এই মিছিলটি লোকালয় থেকে দূরে কোনো কৃষি জমিতে করা হয়েছে। মিছিলটি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।
এদিকে, শহরের সাতমাথায় জাসদের ভেঙে ফেলা কার্যালয়েও নতুন করে ব্যানার টানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এই ব্যানারটি লাগায়।
নিষিদ্ধ সংগঠনের এমন প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড এবং ১৪ দলের শরিক দলের ব্যানার টানানো নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এর মাধ্যমে বগুড়ায় আবারও ফ্যাসিবাদী দলগুলো সক্রিয় হয়ে উঠছে।
ব্যানার লাগানোর বিষয়ে বক্তব্য নিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতাকর্মীদের ফোন দিলে তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির বলেন, ‘পুলিশ মাঠে কাজ করছে। যারা নিষিদ্ধ সংগঠনের এই মিছিলে অংশ নিয়েছে, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি যে, মিছিলটি বগুড়াতেই হয়েছে কি না।
জাসদের ব্যানার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কী উদ্দেশ্যে এবং কারা এই ব্যানার লাগিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এল.বি/বগুড়া/এমআরএম