বগুড়ায় এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ

11 hours ago 9

বগুড়ার শেরপুর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বৃহষ্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একজন নারী। অভিযুক্ত মোক্কাস আলী শেরপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত আছেন। 

অভিযোগকারী মোছা. রুবি আক্তার ঊর্মী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক খান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কিছু ব্যক্তি রুবি আক্তারের বোন ঊর্মীলা খাতুনের জায়গা দখল করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে ঊর্মীলা খাতুন গত ৬ ফেব্রুয়ারি শেরপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় শেরপুর থানা পুলিশের এএসআই মোক্কাস আলীকে। দায়িত্ব পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঊর্মীলা খাতুনের ও রুবি আক্তারের কাছ থেকে দুই দফায় ২ হাজার টাকা নিয়ে যান। পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মোক্কাস আলী হোয়াটসঅ্যাপে রুবি আক্তারকে ফোন দেন। কথা শেষে অসাবধানতাবশত ফোনটি না কেটে রেখে দেন। রুবি অপর প্রান্তে বিবাদীদের সঙ্গে মোক্কাসের কথোপকথন শুনতে পান। এ সময় তিনি শোনতে পারেন, এএসআই মোক্কাস আলী বিবাদীদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন এবং তাদের পক্ষে কাজ করার কথা বলছেন।

অভিযোগকারী রুবি আক্তার বলেন, ‘বৃহষ্পতিবার বিকেলেও এএসআই মোক্কাসের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমার বোনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা না নিয়ে বিবাদীর কাছে একশতক জায়গা বিক্রি করে আপোষ করার পরামর্শ দিয়েছেন।’

তবে ঘুষ নেওয়া ও তদন্তে পক্ষপাতিত্বের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত এএসআই মোক্কাস আলী। তিনি বলেন, ‘আমি যাথাযথ নিয়ম মেনে তদন্ত করেছি। আগামী সোমবার বিকেলে দুপক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠক করার কথা হয়েছে।’

এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মোক্কাস আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি বগুড়ার শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Read Entire Article