বগুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র দায়রা জজ শাহজাহান কবির এ রায় দেন। দণ্ডিতরা হলেন- উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামের তারাজুলের গাড়িচালক হেলাল উদ্দিন ও মানিক।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, শহরের রহমান নগর এলাকায় সপরিবারে বাস করতেন তারাজুল ইসলাম। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করতেন তিনি। ২০১৬ সালে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে তিনি গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নিজ গ্রামের বাড়ি উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামে গেলে ৮ জুলাই রাতে শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ তারাজুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক প্রথমে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে আবার বগুড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এতদিন তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তারাজুলের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু ১২ জুলাই গাবতলী মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। অভিযান চালিয়ে পুলিশ গাড়িচালক বেলালকে গ্রেফতার করে পরে তিনি তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে গাড়িচালক হেলালসহ দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এলবি/আরএইচ/জেআইএম