বগুড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭
বগুড়ার শাজাহানপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফার্নিচারবোঝাই একটি পিকআপভ্যান ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পিকআপের মালিক আরিফ হোসেন বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ এরইমধ্যে ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার এবং তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ও বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়ারা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ উত্তর পাড়ার রাতুল, শাবরুল কারিগর পাড়ার তারেক হোসেন, বগুড়া সদর উপজেলার সাতশিমুলিয়ার সুমন প্রামানিক, একই উপজেলার সুলতানগঞ্জ পাড়ার সাব্বির পাশা ওরফে শাওন, মোস্তফা পাশা ওরফে শ্যামল, কালাম ওরফে সুরমা কালাম ওরফে জামাল এবং রাসেল আহম্মেদ।
বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম শফিক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের বছিলা এলাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ফার্নিচারবোঝাই একটি পিকআপ গাইবান্ধা ও দিনাজপুরগামী রওনা দেয়। ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে গাড়িটি শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ বি-ব্লক ওভারপাস এলাকায় পৌঁছালে ৩টি প্রাইভেটকারে থাকা ১৪-১৫ জনের একদল ডাকাত টর্চলাইটের সংকেতে গাড়ি থামায়। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চালক আল আমিন (৩৫) ও হেলপার রফিককে (৪৫) হাতকড়া পরিয়ে হাত-পা বেঁধে প্রাইভেট কারে তুলে নেয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি স্মার্টফোন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নগদ তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে ভোর ৫টার দিকে বগুড়া দ্বিতীয় বাইপাসের ঘুনিয়াতলা এলাকায় চালক ও হেলপারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
পরে পিকআপ মালিক মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আরিফ হোসেন বাদী হয়ে ১৩ আগস্ট শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের দিন রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে রাতুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে পরে মোট ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়াদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া লুণ্ঠিত মালামাল এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।