বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির বলেছেন, ঘাটাইলের একটি বাড়িঘরও উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবে না। একটি নির্বাচিত সংসদ আসলে স্বৈরাচার এরশাদ কর্তৃক জারি করা ‘আটিয়া বন (সংরক্ষণ) অধ্যাদেশ-৮২’ আইনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলে ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, সম্প্রতি বনবিভাগ কর্তৃক নেতৃত্বে বনের জমিতে গড়ে ওঠা বাড়িঘর ও অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে দিনব্যাপী মাইকিং করা হয়। এতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকালে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ধলাপাড়া, সন্ধানপুর, সাগরদিঘী, লক্ষিন্দর, রসুলপুর, দেওপাড়া, সংগ্রামপুর ইউনিয়নের মানুষ এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ সমাবেশে ওবায়দুল হক নাসির বলেন, বন বিভাগের লোকেরা যদি বাড়ি ভাঙতে আপনাদের বাড়িতে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ফোন দিবেন এবং আমাদের বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮২ সালে আটিয়া বন অধ্যাদেশ আইনটি করেছিলেন স্বৈরাচার এরশাদ। ১৯৮৭ সালে আওয়ামী লীগ সংসদে গিয়ে এরশাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তা আইনে পরিণত করেছিল। এরপর থেকে এ অঞ্চলের মানুষ ওই আইনের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত, বন কর্মকর্তাদের দ্বারা নির্যাতিত।
বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন হেলাল।
ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আটিয়া বন অধ্যাদেশের আওতার বাইরে কোনো ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হবে না। বনের জমিতে থাকা পুরোনো বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির উচ্ছেদ করা হবে না।