বরগুনায় সয়াবিন তেলের লিটার ২০০, সঙ্গে নিতে হচ্ছে অন্য পণ্য

1 day ago 5

বরগুনার খুচরা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা পর্যন্ত দামে। তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য নিতে ক্রেতাদের বাধ্য করছেন দোকানিরা।

ক্রেতাদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অধিক মুনাফালোভী দোকানিরা বোতলজাত সয়াবিন তেলের বোতল কেটে রাতের আঁধারে ড্রামে ঢেলে খোলা সয়াবিন হিসেবে বিক্রি করছেন।

বরগুনার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকানে নেই বোতলজাত সয়াবিন তেল। এক সপ্তাহ আগেও যে তেল ১৬৫ টাকা লিটার বিক্রি হতো, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। বাজারে নামসর্বস্ব ১ লিটার ও ২ লিটার তেলের বোতল পাওয়া গেলেও নেই নামি ব্র্যান্ডের কোনো তেল। এসব তেলের বোতলে পরিমাণ ৯০০ মিলিলিটার, যার মূল্য দেওয়া হয়েছে ১৮০ টাকা। আবার নামি ব্র্যান্ডের ৫ লিটার তেলের সঙ্গে চাল, চা-পাতা অথবা সরিষার তেল কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।

বরগুনায় সয়াবিন তেলের লিটার ২০০, সঙ্গে নিতে হচ্ছে অন্য পণ্য

তেল কিনতে আসা তাহাজ্জুল আমিন নামের একজন স্কুলশিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি সাধারণত পুরো মাসের তেল একসঙ্গে কিনি। আজ ৫ লিটার তেল নেওয়ার সময় অতিরিক্ত এক কেজি পোলাও চাল দিয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি মনে হয় ফ্রি। পরে দেখি চালসহ তেলের দাম রেখেছে এক হাজার টাকা। এটি আসলেই হতাশাজনক।’

গোলাম সরোয়ার নামের আরেকজন ক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে মনে হয় দেখার কেউ নেই। যে যেমন ইচ্ছে দাম রাখছে। তেলের দাম নির্ধারণ করা ছাড়াই বেশি দাম রাখছে।’

বোতলজাত সয়াবিন তেল না পেয়ে নাইম নামের একজন মুদিদোকানি জাগো নিউজকে বলেন, ‘তেল মার্কেটে সাপ্লাই দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরকে খোলা তেল বিক্রি করতে হচ্ছে।’

বরগুনায় সয়াবিন তেলের লিটার ২০০, সঙ্গে নিতে হচ্ছে অন্য পণ্য

বাজারে তেলের সরবরাহ নেই জানিয়ে বসুন্ধরা তেলের পরিবেশক আব্দুল আলিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী আমরা কোম্পানির কাছ থেকে তেল পাচ্ছি না। যেখানে প্রতিমাসে আড়াই হাজার কার্টনের ওপরে তেলের চাহিদা আছে, সেখানে তিন মাসে পেয়েছি ৯৭ কার্টন তেল। আপাতত খোলা তেল দিয়ে খুচরা বাজারের চাহিদা পূরণ করছি।’

রূপচাঁদা সয়াবিন তেলের পরিবেশক আবুল কালাম বলেন, তেলের জন্য কোম্পানিকে টাকা দিলে সঙ্গে চিনিগুঁড়া চাল, সরিষার তেল ও মসুর ডালও পাঠিয়ে দেয়। তবে বাজারের চাহিদার তুলনায় আমরা তেল পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে বরগুনার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, আমরা হাতেনাতে ধরার চেষ্টা করছি। যদি কোনো বিক্রেতা তেলের সঙ্গে অন্য কোনো পণ্য নিতে বাধ্য করেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নুরুল আহাদ অনিক/এসআর/এমএস

Read Entire Article