বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী

3 months ago 33

নির্ধারিত সময় রাত ৮টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দশ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর দুইটায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান তিনি। ডিএনসিসির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর সেকশন-২ ব্লক-এইচ রোড নম্বর ৬ এ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে চারটি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দিলে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমটা অনেক সহজ হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি নির্দিষ্ট স্থানে ১২০০ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো পশু কোরবানি দেওয়ায় পরিচ্ছন্নতার কাজটা দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। যে ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সংখ্যক পশু কোরবানি দেবে সেই ওয়ার্ডে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেবো।’

মেয়র বলেন, ‘রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির দশ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছে। সব কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির সব কর্মকর্তা মাঠে রয়েছে। আমি নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন করবো। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহযোগিতা করুন। হটলাইন নম্বর ১৬১০৬ এ ফোন করে বর্জ্যের বিষয়ে তথ্য জানাবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে ব্যবস্থা দেবে।'

আজই সবাইকে পশু কোরবানি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আজকের মধ্যে কোরবানি দেওয়ার আহ্বান করছি। সম্ভব না হলে অবশ্যই আগামীকাল সকালের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করুন, তাহলে দ্রুত শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে পারবো।’

মেয়র বলেন, ‘এখন অনেক গরম, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। এসময়ে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অনেকে আজকে কালকেও বাড়িতে যাবেন বাড়ি যাওয়ার আগে বাসাবাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাথরুম এগুলো পরিষ্কার করে যাবেন। কোথাও পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।’

উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন শুরু করেন।

বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তফাজ্জল হোসেন (টেনু) ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএইচআর/এমএএইচ/এমএস

Read Entire Article