বসতবাড়ি রক্ষায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

4 hours ago 2

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্ৰামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে নদীভাঙনের কবল থেকে বসতবাড়ি ও ৩৩ কেভি জাতীয় গ্রিডের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন টাওয়ার রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে ভুক্তভোগী গ্ৰামবাসী ওই দাবি জানান।

গ্ৰামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তৃতায় মো. জামাল হোসেন বলেন, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলাধীন তেওতা ইউনিয়নের অন্তর্গত আলোকদিয়া গ্ৰামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি চক্র। ওই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার।

ওই এলাকায় সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল ইজারা না দেওয়া সত্ত্বেও মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রাত-দিন যমুনা নদী থেকে ১২ ইঞ্চি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় আলোকদিয়া গ্রামের অসংখ্য বসতবাড়ি, আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

তা ছাড়া নদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া জাতীয় গ্রিডের ৩৩ হাজার কিলো ভোল্টের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন, যা স্থানীয়ভাবে ‘তারখাম্বা’ নামে পরিচিত সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় এসব টাওয়ারের তলদেশ থেকে মাটি সরে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ওই বালুখেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের টিকিটি স্পর্শ করতে পারছে না। ফলে এলাকাবাসী রাত-দিন আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছেন। 

এলাকাবাসীর জান-মাল হেফাজতের স্বার্থে ও জাতীয় সম্পদ বৈদ্যুতিক তারখাম্বা এবং সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি। তাই সরকারের নৌপরিবহন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। 

মানববন্ধনের সময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী মো. রাজু আহমেদ, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. মুক্তার হোসেন, মো. সামসু মিয়া প্রমুখ।

Read Entire Article