নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরীতে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাঁধ দিয়ে আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষার উদ্যোগ নেয়। ওই বাঁধ কেটে অসাধু ব্যক্তিরা হাওরের ৪১ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল উৎপাদনের সমস্যার সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে খালিয়াজুরী উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের আপনুজ্জামান আপন নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাঁচহাট গ্রামের সামনে বিশাল হাওর। ওই হাওরে পাঁচহাট গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের সহস্রাধিক হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। ওই হাওরে কেওরালা নামের জলমহালে মাছ ধরার জন্য বয়রা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ছয় বছরের জন্য ইজারা পায়। জলমহালের পাশে রয়েছে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ। মাছ ধরার জন্য ওই ফসল রক্ষা বাঁধটি কেটে ভিম জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে জলমহালের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ। এতে ফসল রক্ষা বাঁধ ও হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর বোরো ফসলের জমি চাষাবাদের হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রভাবশালীদের মাছের লোভে স্থানীয় কৃষকরা তাদের জমি আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ফসল রক্ষা বাঁধ রক্ষার জন্য গত ১৪ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দিয়েছেন আপনুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ জানান, বর্ষার পানিতে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। আমার জলমহালের পাশেও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জাল দিয়ে মাছ আটকে রেখেছি। আমি কোন বাঁধ কেটে দিইনি। শত্রুতা করে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
খালিয়াজুরী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিব উল আহসান জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান জানান, বাঁধ পরিদর্শনের করে সত্ত্বা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচ এম কামাল/আরএইচ/জিকেএস